দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সময়ের সাথে সাথে আমাদের খাবার তৈরির প্রক্রিয়াতেও এসেছে পরিবর্তন। আগুনে পুড়িয়ে খাবার তৈরির পর্যায় থেকে সরে এসে মানুষ রান্না করার জন্য নতুন নতুন বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার করছে। তেমনই একটি পণ্য মাল্টি প্লেয়ার মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
কালের পরিক্রমায় ব্যস্ত হয়ে পড়া মানুষের জীবনে এসব পদ্ধতিও এখন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ বাসায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই উপার্জনের সঙ্গে জড়িত থাকায়, রান্নাঘরে বসে অধিক সময় নিয়ে রান্না করাটা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। যে কারণে মানুষের মাঝে কীভাবে কম সময়ে এবং কম কষ্টে রান্না করা যায় এ ধরনের চাহিদার উদ্ভব হয়েছে। আর এ চাহিদা থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সৃষ্টি।
একটা সময় ওভেনকে বিলাসী পণ্য মনে করা হলেও বর্তমানে এটি প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে উঠেছে। আর মানুষের জীবনে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের প্রয়োজনীয়তা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও প্রতিনিয়ত অত্যাধুনিক মানের এ কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সটি বাজারে নিয়ে আসছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি স্যামসাংও ক্রেতাদের জন্য সর্বোচ্চ গুনগত মান নিশ্চিত করে বাজারে এনেছে বি-স্পোক ৩৫ লিটার মডেলের মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
স্যামসাং এর এই পণ্যটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হলো এর ‘মাল্টি প্লেয়ার’ সিস্টেম, যা আপনাকে খাবার তৈরির বিভিন্ন সুবিধা একসাথে প্রদান করবে। এর ‘হটব্লাস্ট’ প্রযুক্তি খাবার তৈরির সময়কে কমিয়ে এনে এবং খাবারের বাইরে ও ভেতরে সমানভাবে তাপ পৌছে দিয়ে, খাবারকে করে তোলে সুস্বাদু।
‘এয়ার ফ্রাই’ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই ওভেনে কম তেলে রান্না করা যায় যা খাবারকে রাখে স্বাস্থ্যসম্মত। ওভেনের ভেতরের উত্তপ্ত বাতাসকে নিয়ন্ত্রণ করে অতিরিক্ত তেল পরিস্কার করার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়ে আপনাকে দিবে স্বাস্থ্যকর খাবার। এই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ‘নতুন ক্রাস্টি প্লেট’ ডিজাইন খাবারে তেল জমতে দেয় না। এই মাইক্রোওয়েব ওভেনের নিচের দিকে বিশেষ ব্যবস্থার জন্য এটি সহজে তেল জাতীয় পদার্থ একজায়গায় জমা রাখতে পারে এবং খাবারকে রাখে ঝরঝরে ও তাজা। তেল জাতীয় পদার্থ এক জায়গায় জমে থাকায় এটি পরিস্কার করতেও বাড়তি কষ্ট করতে হয় না। এর স্টিম কুক প্রযুক্তি তিন স্তর বিশিষ্ট স্টেইনলেস স্টিলের ‘প্রো স্টিমার’ কভার দ্বারা খাবারকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে যা ভেতরে ও বাইরে খাবারকে সমানভাবে নরম এবং রসালো করে।
এছাড়াও, এই ওভেনে রয়েছে ‘পাওয়ার গ্রিল ডুয়ো’ প্রযুক্তি যা সর্বোচ্চ ২২৫০ ওয়াট তাপ উৎপন্ন করে খুব কম সময়ে গ্রিল তৈরি করতে পারে। এতে একইসাথে আপনার সময়ও বাঁচবে, রান্নাও হবে সুস্বাদু।
এর দ্বারা খুব সহজেই যে কেও খাবার তৈরি করতে পারবেন। এই ওভেনের ‘সিরামিক ইনসাইড’ অনেক স্মুথ হওয়ায় সহজে পরিস্কার করা যায়। ল্যাবে পরীক্ষিত যে, এই ওভেন ৯৯.৯৯% অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, ফলে নিশ্চিন্তে এই ওভেনটি ব্যবহার করা যায়। এই কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেনটির ক্যাপাসিটি ৩৫ লিটার এবং এর পাওয়ার কনসাম্পশন ১৪৫০ ওয়াট।
বর্তমান বাজারে এই ফিচারের অন্যান্য মাইক্রোওয়েভ ওভেনও রয়েছে। তবে, এই ওভেনটিকে বাজারে সবচেয়ে সেরা পণ্যদের একটি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। পণ্যটির বর্তমান বাজারমূল্য ৪২,৯০০ টাকা। এই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাথে আছে ১২ মাসের ওয়্যারেন্টি ও ৬ মাসের কিস্তিতে কেনার সুবিধা। স্যামসাং বাংলাদেশের আউটলেট ও বিনামূল্যে হোম বা অফিস ডেলিভারি সুবিধাসহ অনলাইনে বাসায় বসে আপনি পণ্যটি কিনতে পারেন।
সারাদিনের কর্মব্যস্ত দিনের শেষে ঘরে ফিরে রান্নাঘরে অধিক সময় নিয়ে রান্না করার কষ্ট থেকে বাঁচতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের বিকল্প নেই। নতুন নতুন ফিচার সংযোজন করে মাইক্রোওয়েব ওভেনগুলো রান্না করার পদ্ধতিকে আরো সহজতর করে তুলেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অবকাঠামোগত সৃজনশীল ডিজাইন নিশ্চিত করছে খাবারের গুনগত মান এবং স্বাদ। খবর বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।