দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল প্যাকার্ড নামে এক লবস্টার শিকারিকে গিলে ফেলেছিল বিশাল আকৃতির এক হ্যাম্পব্যাক তিমি। অবাক বিষয় হলো ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড তিমির পেটের মধ্যে থাকার পরও বেঁচে ফিরেছেন ওই লবস্টার শিকারি!
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সেই সময় ৫৬ বছর বয়সী মাইকেল প্যাকার্ড সাগরের নীচে বড় আকারের চিংড়ি মাছের খোঁজ করছিলেন। তখন বিশাল ওই তিমিটি তাকে হঠাৎ করেই গিলে ফেলে। তারপর প্রায় ৩০ হতে ৪০ সেকেন্ড তিনি তিমির পেটের মধ্যেই থাকেন। এরপর ওই তিমিটি এক পর্যায়ে তাকে মুখ থেকে লালার সঙ্গে বের করে দেয়। প্যাকার্ডের গোড়ালি একটু মচকে যাওয়া ছাড়া তার কোনো ক্ষতিই হয়নি।
এই বিষয়ে মাইকেল প্যাকার্ড বলেছেন, অন্য চাকরি নেওয়ার জন্য তার স্ত্রীর দীর্ঘদিনের অনুরোধের পরও ৪০ বছর ধরে চালিয়ে আসা ডুবুরির পেশা তিনি কোনো মতেই ছাড়তে চান না।
জানা গেছে, হ্যাম্পব্যাক তিমি সাধারণত ৫০ ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। একেকটি তিমির ওজন হতে পারে প্রায় ৩৬ টন। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বে এরকম তিমির সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজারের মতো।
মাইকেল প্যাকার্ড বলেন, তিনি ও তার সহযোগী মিলে তাদের নৌকা নিয়ে হেরিং কোভে যান। সেখানকার পরিবেশ ছিল চমৎকার। পানিতে দৃষ্টিসীমা ছিল প্রায় ২০ ফিটের মতো।
স্কুবা গিয়ার নিয়ে নৌকা থেকে পানিতে নেমে ডুব দেওয়ার পরেই বিশাল একটা ধাক্কা অনুভব কবেন মাইকেল প্যাকার্ড। তখন তিনি সবকিছু অন্ধকার দেখেন। তিনি ধারণা করেছিলেন যে, তিনি হয়তো বিশাল আকৃতির সাদা তিমির হামলার শিকার হচ্ছেন, যেগুলো সাধারণত ওই এলাকায় সাঁতরে বেড়ায়। তখন তিনি আশেপাশে অনুভব করছিলেন যে, সেখানে কোন দাঁত নেই।
তখনই তিনি বুঝলেন যে, একটা বিশাল তিমির মুখের ভিতরে চলে গেছেন তিনি। তিমিটি তাকে গিলে ফেলার চেষ্টা করছে। তার মনে হচ্ছিলো যে, সবকিছু শেষ, তিনি এবার মারা যাচ্ছেন।
মাইকেল প্যাকার্ড আরও বলেন, সেই সময় আমার স্ত্রী ও তার দুই পুত্রের কথাও ভাবছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই এটি পানির ওপরে ভেসে উঠেই প্রবলভাবে মাথা নাড়তে লাগলো। আমাকে যেনো একেবারে বাতাসে ছুঁড়ে ফেলা হলো এবং আমি আবারও পানিতে পড়ে গেলাম। আমি তখন মুক্ত হয়ে পানিতে ভেসে রইলাম। আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না….. আমি যেনো সেই গল্প বলার জন্যই এখানে রয়েছি, তিনি সাংবাদিকদের এভাবেই বেঁচে ফেরার ঘটনা বর্ণনা করেন।
তার অপর সহযোগী, যিনি তখন পাগলের মতোই পানিতে প্যাকার্ডের অক্সিজেনের বুদবুদ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন, তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে ধরে নৌকায় তুলে নেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার এই অবিশ্বাস্য ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য সাংবাদিকরা মাইকেল প্যাকার্ডের কাছে ছুটে যান।
হ্যাম্পব্যাক তিমি সাধারণত মুখ যতোটা সম্ভব হা করে মাছ, ক্রিল কিংবা অন্য খাবার খেয়ে থাকেন। তবে সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্যাকার্ডের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তা সম্ভবত একটি দুর্ঘটনা মাত্র।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।