দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলেও মানুষের চলাচল যেনো থামানো যাচ্ছে না। জেল-জরিমানার বিধান থাকার পরও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে এখনও। এমন চলতে থাকলে পরিস্থিতি হয়তো আরও ভয়াবহ হবে।
করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলেও মানুষের চলাচল যেনো থামানো যাচ্ছে না। জেল-জরিমানার বিধান থাকার পরও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে এখনও। এমন চলতে থাকলে পরিস্থিতি হয়তো আরও ভয়াবহ হবে।
১ জুলাই থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। প্রথম দিন থেকেই অপ্রয়োজনে রাস্তায় নামার কারণে বহু মানুষকে গ্রেফতার ও জরিমানা করা হয়। কিন্তু এতোকিছুর পরও যেনো চলাচল থামানো যাচ্ছে না কিছুতেই। পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে বিজিবি, সেনাবাহিনী ও র ্যাব, কিন্তু তারপরও মানুষের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা যেনো থামছে না। বিশেষ করে অলিগলিতে যেনো অবাধে চলছেন মানুষ। প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের টহল থাকায় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও প্রাইভেট কারের যেনো ছড়াছড়ি। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন।
এদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি দিনকে দিন যেনো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ এর কংকট দেখা দিয়েছে। মফস্বল শহরগুলোর হাসপাতালে ঠাই না থাকায় রাজধানী ঢাকামুখী হচ্ছে করোনা রোগীরা। যে কারণে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতেও আইসিইউ এর সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে অক্সিজেন সংকটও প্রকট আকার ধারণ করছে। দেশের সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড করে গতকাল (সোমবার) ১৫৩ জনের মৃত্যু ঘটে। আক্রান্তও হয় সর্বোচ্চ। প্রায় ২৯ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে করোনায়।
এমন এক পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই। মানুষকে ঘরে রাখতে না পারলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ঘরে থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এখন একমাত্র ভরসা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।