দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে নতুন এক আতঙ্কের নাম ‘সিংকহোল’। গত এক মাসে ৫ দেশে দানবাকৃতির বিশাল গর্ত তৈরির পর আলোচনায় উঠে এসেছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের উৎপত্তি এবং এর কারণ।
সম্প্রতি ঝড়-বৃষ্টি, ভূমিধ্বসের মতোই বাড়ছে সিংকহোল এর মতো ঘটনা। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু সংকটের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দানবীয় গর্ত সৃষ্টিতে। তবে প্রকৃতিতে এমন দানবীয় গর্ত তৈরির ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। যুগে যুগে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায় বিভিন্ন দেশে। তবে সম্প্রতি অনেকটাই বেড়েছে এর হার।
গত বছর ডিসেম্বরে এক ভূমিকম্পের পর একশ’র বেশি সিংকহোল তৈরি হয় ক্রোয়েশিয়াতে। গত এক মাসে তুরস্ক, মেক্সিকো, ইতালি, ইসরায়েলের পর এবার ভারতেও তৈরি হয়েছে এমন সিংকহোল।
এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কয়েক দশক এমনকি শতাব্দী লাগে একটি সিংকহোল তৈরি হতে হলে। ইউএসজিএস বলেছে, ভূগর্ভস্থ পানি বা খনিজ উত্তোলন করা হলে মাটির অভ্যন্তরে ফাঁপা জায়গা সৃষ্টি হয়। নিচের স্তরের মাটি যখন ভূমির উপরের চাপ নিতে পারে না ঠিক তখনই ধসে পড়ে এবং তৈরি হয় বিশালাকার গর্ত।
প্রকৃতিতে হঠাৎ করে এমন সিংকহোল তৈরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিক গতি প্রক্রিয়া। আবার আশঙ্কাজনক হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বেড়েছে খরা। কমেছে পানির স্তরও। মাটি ক্ষয়, মিথেন গ্যাসের ভীষণ প্রভাব, অধিক হারে ভূগর্ভস্থ পানি এবং খনিজ পদার্থ উত্তোলনও এর জন্য দায়ি। অপরিকল্পিত ভূগর্ভস্থ সুয়ারেজ লাইন কিংবা মাটির নিচে নির্মাণ কাজকেই মনে করা হচ্ছে শহরে সিংকহোল বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সিংকহোল তৈরি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। তারপরের অবস্থানেই রয়েছে তুরস্কের কোনিয়া। মাত্র এক বছরেই অন্ততপক্ষে দ্বিগুণ হয়েছে দেশটির দানবগর্ত। চলতি বছরই সন্ধান পাওয়া গেছে ৬ শতাধিক সিংকহোলের। চীন ও রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলেও বিশালাকার গর্ত রয়েছে বেশ কিছু।
জানা যায় যে, একেক এলাকায় সিংকহোলের আকার কিংবা গভীরতা একেক রকম হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সিংকহোলের সন্ধান পাওয়া যায় সাইবেরিয়াতে। সেখানে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয় এমন দানবগর্ত!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।