দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর হলো কান উৎসব। আর এই উৎসবে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্রের মধ্যে বাংলাদেশের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমাটি প্রদর্শনের পর ব্যাপক সুনাম কুড়ালো। সবার মুখে মুখে এই সিনেমাটির গল্প। কিন্তু কেনো?
এবার এই উৎসবের দিকে নজর বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীদের ছিলো সবচেয়ে বেশি। এর কারণ হলো উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশনে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের সিনেমা। ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অফিশিয়াল সিলেকশনের আঁ সাতা রিগা বিভাগে নির্বাচিত হয় নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদের সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।
গত ৭ জুলাই কানের পালে দো ফেস্টিভাল ভবনের সাল দুবুসি প্রেক্ষাগৃহে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.১৫ মিনিট) প্রথম প্রদর্শিত হয় এই সিনেমা। এতে অংশ নেন বাংলাদেশী তারকা আজমেরী হক বাঁধন। সেখানে দেখা যায় তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি কাড়তে সমর্থ হন। তার স্থির চিত্র নিতে ফটো সাংবাদিকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশী একজন অভিনেত্রীর জন্য এটি একটি প্লাস পয়েন্ট।
মরিয়ম নামে একজন মেডিকেল কলেজ শিক্ষকের একার সংগ্রাম নিয়েই মূলত নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি! সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই সিনেমাটির ট্রেলার। যার মাধ্যমে এই সংগ্রামী নারীকে দেখতে পারছেন সকলেই।
ট্রেলারের প্রায় পুরোটা জুড়েই মরিয়ম নামে ওই প্রতিবাদী নারীর অবয়ব। কলেজে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পরই পাল্টে যেতে থাকে শিক্ষক মরিয়মের মনোজগৎ। তারপর থেকে হেনস্তার শিকার সেই ছাত্রীর পক্ষ হয়ে সহকর্মী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ও ঘটনাটির প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। ক্রমশ একরোখা হয়ে ওঠতে দেখা যায় এই মরিয়মকে।
অনড় মরিয়ম তথাকথিত নিয়মের বাইরে থেকেই সেই ছাত্রীকে ন্যায় বিচার এনে দিতে পারবেন তো? সেই প্রশ্নের উত্তর দিবে পুরো সিনেমা দেখলে। মাত্র দেড় মিনিটের ট্রেলারে সেই সংগ্রামী নারীর ভূমিকায় দেখা যায় বাঁধনকে। এই বাঁধনকে এরআগে এভাবে কেও আবিষ্কার করেনি। মাত্র দেড় মিনিটের ট্রেলারে বাঁধন বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, সিনেমা অঙ্গনে তিনি কেমন প্রস্তুতি নিয়ে পা রেখেছিলেন।
মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৪তম আসরের পর্দা উঠে গত ৬ জুলাই। উৎসব শুরুর পর দিনই (৭ জুলাই) দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার কানের অফিশিয়াল সিলেকশন পাওয়া চলচ্চিত্র ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।
দেখুন ট্রেলারটি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।