দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই কাঁঠাল পছন্দ করলেও কাঁঠালের বিচি একেবারেই অপছন্দ করেন। কিন্তু এই কাঁঠালের বিচির গুণাগুণ জানলে আপনিও অবাক হবেন! আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
অনেকেরই কাঁঠাল পছন্দের নয়, আবার অনেকেই আবার কাঁঠাল পছন্দ করলেও কাঁঠালের বিচি একেবারেই অপছন্দ। তবে বেশিরভাগ মানুষই ফলটি খাওয়ার পর এর বীজ বিচি ফেলে দেন। পুষ্টিবিদদের ভাষায়, কাঁঠালের মতো এর বীজও খুব উপকারী। নিয়মিত এই বিচি খেলে শরীরের নানা সমস্যা দূর হতে পারে। তবে একবারে বেশি পরিমাণে খাওয়াটাও মোটেও ঠিক নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কাঁঠালের বীজে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রণ, জিংক, ফসফরাস এবং ফাইবার রয়েছে। এই বীজ খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় তা হলো:
মানসিক চাপ কমাতে
কাঁঠালের বিচি প্রোটিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে ভরপুর। সে কারণে মানসিক চাপ কমাতে এটি বিশেষ কার্যকরী। এটি ব্যবহারে ত্বকের নানা রোগও কমে যায়। ত্বকে ময়েশ্চারের মাত্রা বেশি রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল পেতে নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খাওয়া ভালো।
বলিরেখা দূর
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কাঁঠালের বিচি অনেকটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সেজন্য একটি বীজ ব্লেন্ড করে কোল্ড ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এরপর সেটি নিয়মিত ত্বকে লাগিয়ে নিন। এতে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়ে যাবে। কাঁঠালের বীজ ত্বককে করে তুলবে সজীব এবং তরতাজা। দু-একটি বীজ সামান্য দুধ এবং মধুতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর, সেটা দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে পারেন। সেই পেস্ট সারা মুখে লাগিয়ে শুকাতে দিতে হবে। এরপর উষ্ণ গরম পানিতে মুখটা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বহুগুণ বাড়বে।
রক্তশূন্যতা কমায়
খাদ্যতালিকায় নিয়মিত কাঁঠালের বিচি রাখলে শরীরের আয়রণের মাত্রা আরও বাড়বে। এই বিচিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকে। কাঁঠালের বিচি হিমোগ্লোবিনের একটি উপাদান বলা যায়। যে কারণে এটি খেলে রক্তশূন্যতা দূর হবে। সেইসঙ্গে মস্তিষ্ক এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকবে।
হজমশক্তিও বাড়ায়
বদহজম রোধে খুবই কার্যকরী কাঁঠালের বিচি। এটি রোদে শুকিয়ে ব্লেন্ড করে পাউডারের মতো করে ফেলতে হবে। বদহজমে সহজ ঘরোয়া সমাধান হচ্ছে এর পাউডার। নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমবে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।
ভালো দৃষ্টিশক্তি ও স্বাস্থ্যকর চুল
কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এই ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এটি রাতকানা রোগ কাটাতেও সাহায্য করে থাকে। শুখু চোখই নয়, চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে এই ভিটামিন এ। চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করে এই ভিটামিনটি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।