দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বার বার পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাটি কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটিকে রহস্যজনক হিসেবেই দেখা যায়। তাই রহস্য উদঘাটন জরুরি।
বার বার পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাটি কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটিকে রহস্যজনক হিসেবেই দেখা যায়। তাই রহস্য উদঘাটন জরুরি। পর পর তিন বার এই ধাক্কার ঘটনা ঘটলো। এর মধ্যে মাধ্য এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার ঘটেছে ১০ নং পিলারে ধাক্কার ঘটনা। এটিকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া উচিত নয়।
অনেকেই মনে করেন এটির সঙ্গে কোনো ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। কারণ পদ্মা সেতুর শুরু হতেই চলছে নানা ষড়যন্ত্র। বিশ্বব্যাংকের সরে দাঁড়ানোসহ এমন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও শুরুতেই হয়েছে। দুর্নীতির যে অভিযোগ হয়েছে তা পরে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। পরবর্তীতে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে চলেছে। এখন এটির একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র হতেই পারে।
তাই যে সব ফেরি মাস্টাররা এই কাণ্ড করেছেন তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। আগের ঘটনাগুলোকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একজন মাস্টার যদি সাময়িক বরখাস্ত হন তাহলে পরবর্তীকালে তিনি আমার হয়তো হাইকোর্টে রিট করে চাকরি ফিরে পাবেন। তাতে তার কোনো ক্ষতি হবে না। এই সময়ের বেতনও তিনি হয়তো পেয়ে যাবেন। যে কারণে এটিতে তারা মোটেও পাত্তা দিচ্ছে না। তাই যারা এই কাণ্ডটি করেছেন তাদের যদি গ্রেফতার করা হতো এবং রিমান্ডে নেওয়া হতো তাহলে তাদের মধ্যেও ভয়ের উদ্যেক ঘটতো। তাহলে একের পর এক এভাবে ধাক্কা লাগানোর সাহস কেও পেতো না।
তাই এখন উচিত ষড়যন্ত্র খুঁজে বের করতে কেও ধাক্কা দিলেই তাকে আইনের মধ্যে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থা করা। তাহলে হয়তো ষড়যন্ত্র আছে কি না সেটি যেমন জানা যাবে, আবার কেও এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করার সাহসও পাবে না।
পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। বর্তমান সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই বৃহৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার বিশাল এক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পুরো বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছে। এই পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় অর্থনীতি বিরাট ভূমিকা পালন করবে। এটিকে কোনো অবস্থাতেই ছোট করে দেখার কিছু নেই। ইতিমধ্যেই সরকারের সেতু মন্ত্রীও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। আমরাও বলতে চাই গুরুত্বসহকারে এটি বিবেচনা করা হোক। কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে তা বের করে জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত। কে বা কারা এই সব ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে সেটি সকলের জানার অধিকার আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা সরকারের এই মহা প্রকল্পভূক্ত পদ্মা সেতুর ত্রুটিমুক্ত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। যা নিয়ে আমরা একজন দেশের নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করতে পারি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।