দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বার বার রিমান্ড চাওয়ার হেতু বুঝতে পারছেন না পরীমনির আইনজীবী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এমন একটি মামলায় কেনো বার বার তার রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে আবারও ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে সিআইডি। আজ (১৮ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে এই আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক বলেন, যেহেতু তার রিমান্ড আবেদন রয়েছে সেহেতু আইনগতভাবে জামিন শুনানি সম্ভব হচ্ছে না। পরে আদালত আগামীকাল (১৯ আগস্ট) রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এই শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেছেন, তৃতীয় দফায় পরীমনির আবার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। কাল (বৃহস্পতিবার) পরীমনির উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
শুনানি শেষে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেছেন, আদালত আমাদেরকে জানিয়েছেন যেহেতু পূর্বের রিমান্ড আবেদন কেয়ার করা হয়েছে সে কারণে জামিন শুনানি করা সম্ভব হচ্ছে না। কাল (বৃহস্পতিবার) রিমান্ড আবেদনের শুনানি রয়েছে। আমরা আজ বলেছি এমন মামলায় কেনো বার বার রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। এই মামলায় আর কি বিষয় রয়েছে।
কেনো রিমান্ড চাওয়া হবে না প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, যে মাদকের মামলায় পরীমনিকে ধরা হয়েছে তার প্রত্যেকটি ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি হলো ১ থেকে ৫ বছর। এমন একটি মামলায় কেনো বার বার রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে আগামীকাল তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইবো আমরা।
পরীমনির সঙ্গে কারাগারে কোনো যোগাযোগ হয়েছে কিনা কিংবা ডিবিশন (কারাগারে বিশেষ সুবিধা) পেয়েছেন কিনা প্রশ্নে তার আইনজীবী বলেন, আমরা কারাগারে আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছি। তবে পারিনি। আদালত ডিবিশনের জন্যও ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। তবে আদৌ তাকে ডিবিশন দেওয়া হয়েছে কিনা আমাদের তা জানা নেই।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৬ আগস্ট) পরীমনি অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত এবং অসুস্থ দাবি করে তার জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে এই আবেদন করা হয়েছিলো। পরে বিচারক আবেদনের প্রেক্ষিতে এই জামিন শুনানির জন্য আজ (বুধবার) দিন ধার্য করেছিলেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।