দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি রেফ্রিজারেটর খাদ্য সমগ্রী ঠাণ্ডা রাখে। তবে কতোটা ভালো কাজ করে ঘরের রেফ্রিজারেটর সেটিই দেখার বিষয়। এই ক্ষেত্রে স্যামসাং -এর নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও খাবার ঠাণ্ডা করার জন্য অনন্য।
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ খাবার ঠাণ্ডা করে সংরক্ষণের চেষ্টা করে আসছে। প্রথমে নদী ও হ্রদ থেকে বরফ সংগ্রহ করে মানুষ খাবার সংরক্ষণ করতো। এরপর সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে উন্মেষ ঘটে প্রযুক্তির, আবিষ্কৃত হয় রেফ্রিজারেটর নামক চমকপ্রদ এক যন্ত্রের। কালের স্রোতে সেই রেফ্রিজারেটরেও আসে অনেক পরিবর্তন, নতুন নতুন প্রযুক্তি; মানুষের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বিকাশ ঘটে এর বৈশিষ্টে এবং ডিজাইনে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বক্স আকৃতির রেফ্রিজারেটরের উদ্ভাবনের মাধ্যমে এর প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর কালের বিবর্তনে নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযোজনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত হতে শুরু করে বিভিন্ন অত্যাধুনিক বৈশিষ্টের রেফ্রিজারেটর। রেফ্রিজারেটরের এমন অত্যাধুনিক সংযোজন, বিকাশ ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনে সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বিশ্বের স্বনামধন্য হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রতিষ্ঠান স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস। ব্যবসায়িকভাবে রেফ্রিজারেটর বাজারজাত হবার শুরু থেকেই এ খাতে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল ধারা সংযুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে স্যামসাং। উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্যামসাং এর পরিচয় পাওয়া যায় ১৯৯৫ সালে পৃথক ফ্রিজ ও ফ্রিজার বাজারজাত করার মাধ্যমে। একইসাথে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও শীতলীকরণের এ অনন্য কৌশল তখন বিশ্বজুড়ে স্যামসাং -এর অবস্থানকে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আরও শক্ত করে তোলে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই একের পর এক উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনের মধ্য দিয়ে ক্রেতাদের বিশ্বাস করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল ফ্রস্ট প্রযুক্তির; এগুলোতে খাবার রাখলে সহজে বরফ জমে যায়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলেও খাবারকে ফ্রেশ রাখে এ প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটরগুলো। কিন্তু বরফ জমে যাওয়ায় এ ধরণের ফ্রিজ থেকে খাবার নিয়েই সাথে সাথে খাওয়া যায় না, অনেকক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। ইচ্ছা হলেই ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে খাওয়া যায় না, অনেক সময় বরফে আটকে গেলে টেনে খাবার বের করতে বেগ পেতে হয়। এমন সমস্যা থেকে বাঁচতে নতুন করে সংযোজিত হয় নন-ফ্রস্ট প্রযুক্তি। নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ চালুর সাথে সাথে ভিতরে শীতল হতে শুরু করে এবং টাইমার চালু হয়ে যায়। ছয় ঘণ্টা পর পর এটি হিটার চালু করে দেয়, ফলে ফ্রিজের গায়ে বরফ থাকলেও তা গলে যায়। ভিতরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌছালে সেন্সরের মাধ্যমে হিটার বন্ধ হয়ে যায় এবং অনুকূল পর্যাপ্ত তাপমাত্রায় বরফ না জমেই খাবার থাকে টাটকা ও সুস্বাদু।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী স্যামসাং নন-ফ্রস্ট প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর বাজারে এনেছে। সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে থাকা মানুষের অভিরুচি ও লাইফস্টাইলকে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের রেফ্রিজারেটর বাজারজাত করেছে স্যামসাং। নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরগুলো মধ্যবিত্ত পরিবারের চাহিদা মেটাতে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করে তৈরি করা হয়েছে। শুধু অত্যাধুনিক প্রযুক্তিই নয়, মানুষ এখন রেফ্রিজারেটর কিনছে ঘরের শোভা বৃদ্ধির জন্যও। তাই, ঘরের সাথে মানানসই ডিজাইন ও সাইজের কথা মাথায় রেখে স্যামসাং এর
রেফ্রিজারেটরগুলোতে রেখেছে বিভিন্ন কালার, ডিজাইন, সাইজ ও ফিচারের সমন্বয়। এতে ক্রেতারা সহজেই নিজের চাহিদামত রেফ্রিজারেটর পছন্দ করতে পারে।
বাংলাদেশেও এখন স্যামসাং-এর নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর পাওয়া যাচ্ছে। মডেল, সাইজ ও ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এ রেফ্রিজারেটরগুলো পাওয়া যাবে ৩৪,৯০০ টাকা থেকে ২,১০,০০০ টাকার মধ্যে।
পরিবর্তনশীল লাইফস্টাইলে প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধীরে ধীরে প্রত্যেকটি আধুনিক ঘরের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে রেফ্রিজারেটর। চাহিদা অনুযায়ী মানুষের কাছে মানানসই রেফ্রিজারেটর পৌছে দিতে এর বিকাশের যাত্রায় নতুন নতুন সৃজনশীল মাত্রা যোগ করে এ খাতকে আরও অনন্য করেছে স্যামসাং। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।