দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সদ্যই ইনস্টাগ্রামে এসেছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। মাত্র একটি পোস্ট রয়েছে তার অ্যাকাউন্টে। জোলি ২১ আগস্ট ইনস্টাগ্রামে আসার পরই এক আফগান কিশোরীর একটি চিঠি শেয়ার দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে জয়েন করার একদিনও হয়নি। অথচ, ইতিমধ্যেই ফলোয়ার ৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। কী রয়েছে ওই পোস্টে? কোনো গ্ল্যামারাস পোস্ট এটি নয়। রয়েছে কঠিন বাস্তবতা। ইতিমধ্যেই ওই পোস্টে লাইকের সংখ্যা ২১ লাখ পার হয়ে গেছে। কমেন্ট এক লাখ ছুঁইছুঁই।
ইনস্টাগ্রামে তারকাদের সক্রিয় উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় সব সময়। তবে এরমধ্যেও ব্যতিক্রম ছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বরং সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রাখছিলেন এই মার্কিন তারকা।
সম্প্রতি আফগানিস্তানে তালেবান শাসন শুরু হওয়ায় সে দেশের মানুষ বিশেষ করে মেয়েদের যে কঠিন সময়ের মধ্যেদিয়ে যেতে হচ্ছে তা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্যই এই ছকভাঙা পোস্ট করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার বিশেষ দূত অস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী আফগানিস্তানের জর্জরিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। জোলি ২১ আগস্ট ইনস্টাগ্রামে আসার পরই এক আফগান কিশোরীর একটি চিঠি শেয়ার দেন।
জোলিকে কী লিখেছে ওই আফগান কিশোরী?
নিজের ইনস্টাগ্রামের প্রথম পোস্টেই চিঠিটির একটি ছবি শেয়ার করে জোলি লিখেছেন যে, ‘চিঠিটি এক আফগান টিনএজার মেয়ে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। দেশটির লোকজন এখন নিজেদের মুক্তভাবে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারছেন না। তাই ওই কিশোরীর হয়ে চিঠিটি শেয়ার করতে আমি ইনস্টাগ্রামে এলাম।
লম্বা চিঠিতে কিশোরী যা লিখেছে তার সারকথা হলো- তারা এখন স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছেন না। স্কুলে যেতেও পারছেন না। এই পর্যন্ত যতো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল তার সবই হাওয়ায় উড়ে গেছে।
জোলি তার পোস্টে আরও জানিয়েছেন, নাইন-ইলেভেনের ঠিক দুই সপ্তাহ পূর্বে তিনি আফগান সীমান্ত এলাকায় ছিলেন। সেখানে তালেবানের ভয়ে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের অবস্থা দেখতে যান তিনি।
‘এটা রীতিমতো অসুস্থ একটা দৃশ্য যে, আবারও আফগানদের বাস্তুহারা হতে দেখছি। আবারও তাদের দেশটাকে আঁকড়ে ধরেছে এক অনিশ্চয়তা।’
তবে অন্য আরও অনেকের মতো জোলিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। ‘আমি কোনও না কোনও পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করবো। আশা করি আমার সঙ্গে অন্যরাও যোগ দেবেন।’ -যোগ করেন জোলি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।