দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রথমেই মনে পড়ে অ্যাসপিরিনের কথা। বুকের মধ্যে ব্যথা উঠলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। তবে আজ রয়েছে অ্যাসপিরিনের ব্যতিক্রমি ব্যবহার সম্পর্কে প্রতিবেদন।
আমরা জানি ব্লাডপ্রেশার বা অন্যান্য ব্যথা কমানোর মতো নানা অসুখে অ্যাসপিরিনের ভূমিকা বিদ্যমান৷ এ ছাড়াও এই ট্যাবলেটের অন্য কিছু গুণও রয়েছে৷ জেনে নেওয়া যাক কী সেগুলো৷
ঘামের দাগ দূর করা
আপনার সুন্দর শার্ট কিংবা জামাতে ঘামের হলদেটে দাগ পড়ায় আর তা পরতে পারছেন না? কোনো সমস্যা নেই, একটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট পানিতে ভিজিয়ে সেটা গলে গেলে কাপড়ের দাগের ওপর ভালো করে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে কাপড়টি ধুয়ে ফেলতে হবে। তখন দেখবেন আগের দাগটি আর আপনি নিজেও খুঁজে পাচ্ছেন না।
বাথরুম ঝকঝকে করতে
ঝকঝকে বাথরুম সবার ভালো লাগে, সেটিই স্বাভাবিক। বাথরুমের বেসিন, বাথটাব বা শাওয়ারের আশেপাশে সাবান কিংবা অন্যান্য ময়লা লেগে অনেক সময় শক্ত হয়ে যায়। সেটি দূর করতে এক লিটার পানিতে মাত্র ৫টি ট্যাবলেট ছেড়ে দিন, গলে যাওয়ার পর সেটি একটি প্লাস্টিক স্প্রে করার বোতলে ঢেলে নিন। এখন যেখানে ময়লা বা দাগ রয়েছে সেখানে স্প্রে করে দিন। তারপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালো করে মুছে ফেলুন। ঝকঝকে বাথরুম দেখে এবার নিজেই যেনো চমকে যাবেন!
টয়লেটের কমোড পরিষ্কার
টয়লেটের কমোডের ভেতরে হলদেটে দাগ তুলতেও এই অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারেন। দু’টো ট্যাবলেট ফেলে দিন টলয়েটের মধ্যে তবে তক্ষুণি ফ্লাশ বা টয়লেট ব্যবহার করবেন না। ঘণ্টাখানেক পর ফ্লাশ করলেই দেখবেন কেমন চকচক করছে আপনার টয়লেটের কমোডটি৷
ফুলের যত্নে অ্যাসপিরিন
ঘরে সাজানো তাজা ফুলকে আরও বেশিদিন তাজা রাখে এই অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট। ঠিক তাই অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটে থাকা স্যালিসিলিক এসিডেরই অবদান এটা। তাই ফুলদানির পানিতে অ্যাসপিরিন মিশিয়ে এরপর তাজা ফুল রাখুন। দেখবেন যে বেশ কয়েকদিন ফুলগুলো কেমন তরতাজা থাকবে, মনে হবে যেনো এইমাত্র বাগান থেকে ফুলগুলো আপনি তুলে এনেছেন!
ইলেক্ট্রিক কেটলি পরিষ্কার
ওয়াটার হিটার, কফি মেশিন কিংবা ইলেক্ট্রিক চায়ের কেটলিতে নিয়মিত পানি ফুটানোর কারণে মাঝে মধ্যেই চুনের মতো সাদা শক্ত স্তর জমে যায়। এমন অবস্থা হলে কেটলিতে একটি বা দু’টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট ও এক লিটার পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর নিজে থেকেই চুন গলে যাবে, এরপর স্বাভাবিকভাবে পাত্রটি ধুয়ে নিতে হবে। এবার দেখবেন কেটলিটি যে শুধু ঝকঝক করছে তা নয়, অনেকদিন পর আবার চায়ের আসল স্বাদও পাচ্ছেন!
তথ্যসূত্র : ডয়েচে ভেলে
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।