দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে দফায় দফায় আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় ১৩ মার্কিন সেনা ও শিশুসহ অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। নিজ নিজ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, দেশত্যাগের জন্য বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছিলেন বহু আফগান। আফগানদেন কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলো ডেনমার্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যেই বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের বাইরে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা করা হয়। এই সময় সেখানে প্রায় চার থেকে পাঁচশ মানুষ অবস্থান করছিলেন। প্রথম বিস্ফোরণের পর দূর হতে গুলি চালায় আরেকজন হামলাকারী। এর কিছুক্ষণ পরই পাশের ব্যারন হোটেলের বাইরে আরেকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্ফোরণ পরবর্তী ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে লাশের স্তূপ। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ মার্কিন সেনা ও শিশুসহ অন্তত ৯০ জনের মৃত্যুর ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় শতাধিক মানুষ। তাদের অনেককেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘটনাস্থলে থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেককে ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে ভিড়ের মধ্যে ঘটা বোমা হামলায় আহতের সংখ্যা বেশি হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকরা।
এই জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাক-এর এক প্রতিবেদনে হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। আমাক নিউজ এজেন্সির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ‘ব্যারন ক্যাম্প’ এলাকায় আত্মঘাতী বোমা নিয়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলো। মার্কিন সেনাবাহিনীর অনুবাদকদের ও সহযোগীদের একটি বিশাল সমাবেশে পৌঁছে বিস্ফোরক বেল্টটি বিস্ফোরণ ঘটায় ওই ব্যক্তি।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি জানিয়েছেন যে, বিস্ফোরণ একটি নয়, দুটি হয়েছে। একটি হয় বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটে। অপরটি হয় ব্যারন হোটেলের পাশেই। গেট থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত এই হোটেলটি।
সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়ে পররাষ্ট্র দফতর। দুটি হটলাইন নাম্বার দিয়ে প্রয়োজনে বাংলাদেশীদের যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তীব্র নিন্দা জানিয়ে কঠোর হস্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনের কথা বলেছেন। অপরদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।