দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘর হলো আমাদের নিত্যদিনের প্রশান্তির একটি জায়গা। আর সেই জায়গাটি যদি দুর্গন্ধময় থাকে তাহলে মনের প্রশান্তি তখন উবে যায়। আজ জেনে নিন ঘরবাড়ি থেকে দুর্গন্ধ দূর করার উপায়।
নিজের প্রিয় ঘরটি সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে আপনি আমি সবাই ভালোবাসেন। সেজন্যই ঘর পরিষ্কার এবং দুর্গন্ধমুক্ত রাখার কাজটি নিয়মিত করা দরকার। এছাড়াও বর্তমানে বিশ্বে করোনা ভাইরাসের জন্য যে মহামারি শুরু হয়েছে তা থেকে বাঁচতে হলেও সচেতন থাকতে হবে। তাছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই জরুরি একটি বিষয়।
ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে খুটিনাটি অনেক বিষয় গুরুত্ববহন করে। যেমন বাড়িতে রান্নাবান্নার পর মশলার গন্ধ থেকে যেতে পারে। আবার বাথরুম থেকেও অনেক সময় দুর্গন্ধ আসে। বেখেয়ালে ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করতে ভুলে গেলেও দুর্গন্ধ আরও বাড়ে। অনেকেই রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করেন, তবে কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই আবার দুর্গন্ধ ফিরে আসে। এছাড়াও এমন আরও অনেক পরিস্কার অপরিস্কারের উদাহরণ রয়েছে।
তাহলে কিভাবে দুর্গন্ধ দূর হবে
বাড়ি থেকে বাজে গন্ধ বা দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে গন্ধের উৎস কোথায়। যদি রান্না করার কারণে বাড়িতে উৎকট গন্ধ হয়ে তাকে সেক্ষেত্রে রান্না হয়ে গেলেই জানালা-দরজা খুলে দিতে হবে, যাতে করে আঁশটে গন্ধ বেরিয়ে যায়। অনেক সময়ই বদ্ধ ঘরে উৎকট গন্ধ বেশি হয়ে থাকে।
অনেক সময়ই আমরা রান্না ঘরে, বাথরুমে কিংবা বাড়ির অন্য কোনও জায়গা থেকে বাজে গন্ধ দূর করতে নানা রুম ফ্রেশনারও ব্যবহার করি। তবে দেখা যায় কিছুক্ষণ পরই আবার সেই উৎকট গন্ধ ফিরে আসে। ঘরোয়া উপায়ে যদি এই সমস্যা হতে মুক্তি চান তাহলে ঘরের কোণে ছোট ছোট কাঁচা লেবুর টুকরো রেখে দিতে পারেন। লেবু না থাকলে লেবু পাতাও রাখতে পারেন, তবে তা ছিঁড়ে দিতে হবে।
রান্নঘরে ময়লার ঝুড়ি যেনো হয় ঢাকনাযুক্ত সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে বাজে গন্ধটা পুরো বাড়ি ছড়ানোর আশংকাও কম থাকবে। রান্নঘরে থালা-বাসন মাজার ক্ষেত্রে যে স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। এটি প্রত্যেক সপ্তাহে পরিবর্তন করে নিতে হবে। অথবা প্রতিদিন ব্যবহারের পর তা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। মাছ-মাংস ইত্যাদির কাঁচা অবশিষ্ট অংশ ফেলার ক্ষেত্রে প্ল্যাস্টিক কিংবা কাগজের প্যাকেট ব্যবহার করতে হবে। প্যাকেটের ওপরের অংশটা মুড়ে তবেই ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে হবে। রান্নাঘরের যে কোনো এক জায়গায় একটি খোলা বাটিতে বেকিং সোডা কিংবা ভিনেগার রাখতে পারেন।
আপনার বাড়িতে যদি ভ্যানিলা এসেন্স বা ভ্যানিলা এসেনশিয়াল অয়েল থাকে তাহলে দু’চার ফোঁটা নিয়ে লাইট বাল্বের বাইরের অংশে অল্প করে মাখিয়ে রাখুন। এই কাজটি করার সময় সাবধানে করবেন যাতে ইলেক্ট্রিক শক না লাগে। পরে যখন বাল্ব জ্বালাবেন, বাল্ব গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভ্যানিলার সুগন্ধে বাড়ি ভরে উঠবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।