দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লেবুর মধ্যে রয়েছে ছোটোখাটো শরীর খারাপ থেকে শুরু করে সুস্থ থাকার নানা গুণাগুণ। সাইট্রাস ফল হিসেবে লেবুর এমন অনেক গুণের কথাই জানা আছে আমাদের।
এক কথায় বলা যায় ম্যাজিকের মতো উপকার করে এক টুকরো লেবু। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবারসহ বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে এই লেবুতে। হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে, ওজন কমাতে, হজমের জন্যও লেবু খুবই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে অনেক রোগ দূর করতেও লেবুর জুড়ি হয় না।
লেবুর থেরাপি গুণাগুণ
রাতে ঘুমানোর পূর্বে কয়েক টুকরো লেবু কেটে সেগুলোতে একটু লবণ ছিটিয়ে আপনার বিছানার পাশে কিংবা জানালার পাশে রেখে দিতে পারেন। এই পদ্ধতি এক ধরনের থেরাপির হিসেবে কাজ করবে। অনেক আগে থেকেই শক্তিশালী অ্যারোমা থেরাপি হিসেবে মনোযোগ বাড়াতে, স্ট্রেস লেভেল কমাতে লেবু ব্যবহৃত হয়ে তাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া ভালো রাখতেও লেবু সাহায্য করে থাকে। তাই বিছানার পাশে বা ঘরে লেবু কেটে রাখলে সেটি এয়ার ফ্রেশনারের চাইতেও অনেক গুণ ভালো কাজ করবে। কারণ কেমিক্যাল সমৃদ্ধ এয়ার ফ্রেশনার আপনার মাথা ব্যথার কারণও হতে পারে। অপরদিকে লেবুর গন্ধ আপনাকে প্রকৃতিগতভাবেই বেশ সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্যও উপকারী
লেবুর গন্ধ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হওয়ার পাশাপাশি শ্বাস প্রশ্বাসের জন্যও বেশ উপকারী প্রমাণিত হয়। সর্দির কারণে নাক বন্ধ হয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে, লেবুর গন্ধ ওই সমস্যা দূর করে করবে।
স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে
রাতে ঘুমানোর পূর্বে আপনার বিছানার পাশে লেবুর টুকরো রাখার আরেকটি বিশেষ উপকার হলো লেবুর গন্ধ স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে ফুরফুরে রাখতে পারে এই লেবুর গন্ধ। যে কারণে শরীর এবং মন সতেজ হয়, যে কারণে রাতের ঘুমটাও বেশ ভালো হয়।
পোকামাকড় দূর হয়
লেবুর ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে লেবু খুব সুফলদায়ক। প্রাকৃতিক রিপিলেন্ট হিসেবে এটি মশাসহ অন্যান্য পোকামাকড়ও দূর করে। তাই লেবুর টুকরো বিছানার কাছে রেখে আপনি অনেকটা নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারবেন।
বাতাসের ব্যাকটেরিয়া দূর করে
ঘরের বাতাসে সুঘ্রাণ ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি লেবুর টুকরো বাতাসে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শুষে নিয়ে বাতাস নির্মল করে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা যায়, লেবুর গন্ধ রক্তনালীগুলো সতেজ রেখে উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে।
এনার্জি বাড়াতে লেবু
যদি আপনি রাতে শোয়ার ঘরে লেবুর টুকরো রাখেন তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে দারুণ সতেজ ও ফুরফুরে বোধ করবেন। লেবুর ঘ্রাণ মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপাদন আরও ত্বরান্বিত করে, এতে করেরাতে ঘুম যেমন ভালো হবে, ঠিক তেমনি মুডও ভালো থাকবে।
তবে রাতে বিছানার পাশে বা ঘরে রাখা ওইসব লেবুর টুকরোগুলো সকালে সরিয়ে ফেলতে ভুলবেন না। কারণ হলো ২৪ ঘণ্টা পরই লেবুর সেই কার্যকারিতা থাকে না। সেক্ষেত্রে ওই লেবুর টুকরোগুলো কিচেন সিংক কিংবা মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার করতে বা ফেটে যাওয়া পায়ের গোড়ালি পরিষ্কার করতেও ব্যবহার করতে পারেন এগুলো। তথ্যসূত্র : ব্রাইটসাইড বোল্ড স্কাই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।