দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আর মাত্র কয়েকদিন পরই ১০৮তম জন্মদিন উদযাপন করবেন জাপানি যমজ বোন উমেনো সুমিয়ামা এবং কউমি কোডামা। তার আগেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বছর বাঁচা যমজ হিসেবে গিনেস বুকে রেকর্ড করলেন তারা।
গত ১ সেপ্টেম্বর ১০৭ বছর ৩৩০ দিন বয়সে তারা আগের রেকর্ড ভেঙ্গে দেন (২০ সেপ্টেম্বর) তা ঘোষণা করেছে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। আবার কাকতালীয়ভাবে এদিনই ছিল জাপানের ‘বয়স্ক দিবস’। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সোমবার এই দিবসটিকে সসম্মানে পালন করে থাকেন জাপানিরা।
ইতিপূর্বে এই রেকর্ড ছিল জাপানের অপর দুই যমজ বোন প্রয়াত কিন নারিতা ও গিন ক্যানির। তাদের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন উমেনো সুমিয়ামা ও কৌমি কোদামা দুই যমজ বোন। উমেনো ও কৌমিকে বন্ধুত্বসূলভ বলে উল্লেখ করা হয়।
শোদোশিমা দ্বীপে ১৯১৩ সালের ৫ নভেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন এই যমজ বোন। অনেকটা কাকতালীয়ভাবে জাপানের জাতীয় বয়স্ক দিবসেই নতুন এই রেকর্ডের ঘোষণা করলো গিনেজ বুক। এই দিনটি জাপানে জাতীয় ছুটি হিসেবেও পালিত হয়ে থাকে।
তবে এই দুই যমজ বোন একসঙ্গে থাকেন না। তারা আলাদা কেয়ার হোমে থাকেন। করোনাকালীন এই সময় অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে তাদের দু’জনের সার্টিফিকেট তাদের কেয়ার হোমে গিনেজ বুকের স্টাফদের মাধ্যমেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আগের রেকর্ডধারী কিন ও গিন ১০৭ বছর ১৭৫ দিন বয়সে সবচেয়ে বয়স্ক যমজের তকমা পান। ২০০০ সালের জানুয়ারিতে কিনের মৃত্যুর পর দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নতুন করে আর কেও এই রেকর্ড অর্জন করতে পারেননি। ওই বছরই ১০৮ বছর বয়সেই গিনও মারা যান।
অপরদিকে উমেনো ও কৌমির পরিবার জানিয়েছেন যে, যমজ হওয়ার কারণে তারা প্রায়ই ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের শিকারও হয়েছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে শত বছরের বেশি সময় ধরে তারা বেঁচে রয়েছেন তারা। বর্তমানে উমেনোর চার সন্তান রয়েছে ও অপরদিকে কৌমি তিন সন্তানের জননী। গিনেজ বুকের রেকর্ড অনুযায়ী দেখা যায়, ১১৮ বছর বয়সী জাপানি নারী কেন তানাকা এ পর্যন্ত সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তির তকমা ধরে রেখেছিলেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।