দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন। বঙ্গবন্ধু যেমন বীরদর্পে রাজনীতি এবং পরবর্তীতে দেশ চালিয়েছেন, তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও আজ বিশ্ব দরবারে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। সার্বজনীন এই নেত্রীর বিশ্বজয়ের গল্প বর্তমানে মানুষের মুখে মুখে।
এ দেশের দূরদর্শী এবং বলিষ্ঠ একজন নেতা তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি তথা বাংলাদেশের কাণ্ডারি। নানা সংকট ও চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জীবনের চুয়াত্তর বছর পাড়ি দিয়ে পঁচাত্তরে পা রাখলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুভ জন্মদিন- প্রধানমন্ত্রী।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনে (২৮ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া শেখ হাসিনা ছাত্রজীবন হতেই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ইডেন কলেজের নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে ৬ দফা এবং পরে ১১ দফা আন্দোলন এবং ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ করেছেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ৪ বার প্রধানমন্ত্রী ও ৩ বার জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করছেন। সেইসঙ্গে তিনি ৪১ বছর ধরে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশন ও উন্নয়নশীল এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশ উন্নীত হয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত সমৃদ্ধ এক দেশের পথে।
তাঁর এই দীর্ঘ রাজনৈতি পথ পরিক্রমায় শেখ হাসিনাকে বার বার মৃত্যুর মুখোমুখিও হতে হয়েছে। বোমা, গুলি, গ্রেনেড তাকে বার বার তাড়া করেছে। এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বার বার তিনি শত্রুর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তার ওপরে বিভিন্ন সময় গুলি, বোমা এবং গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তাকে হত্যার জন্য ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি এক মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করেন। তাঁকে কারাভোগও করতে হয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শেখ হাসিনাকে কখনও সামরিক স্বৈরশাসন, কখনও সাম্প্রদায়িকতা আবার কখনওবা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে,যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে এবছরও তিনি জাতিসংঘে পুরস্কৃত হয়েছেন।
রাষ্ট্রপরিচালনায় সফলতার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে নানা পুরস্কার এবং সম্মানসূচক ডিগ্রিতে ভুষিত হন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত হন তিনি। এ বছরও তিনি এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার পেয়েছেন। জাতিসংঘ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউসনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কার দেয়। দারিদ্র্য দুরিকরণ, বিশ্বের সুরক্ষা ও সবার জন্য শান্তি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহ্বানে সারা দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পুরস্কার পেয়েছেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি গত ২০১৯ জাতিসংঘে মর্যাদাপূর্ণ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার পেয়েছিলেন এবং তারুণ্যের দক্ষতা উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা(ইউনিসেফ) শেখ হাসিনাকে ’চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সম্মাননাও দেয়। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য’ এ ভুষিত হন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী দেশী-বিদেশী চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারেহত্যা করার সময় শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নির্বাসিত অবস্থাতেই শেখ হাসিনার ওপর দায়িত্ব আসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের। তার সফল দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আওয়ামী লীগ চার চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় বিদ্যমান। বর্তমানেও টানা ৩ বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে এবং তিনিও টানা তিনবারসহ মোট চারবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। আজ বিশ্ব দরবারে তিনি বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
এ বছরের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। আওয়ামী লীগও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন করছে। জাতিসংঘেও তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে পুরো বিশ্বে করোনা টিকা নিশ্চিত করা, বিশ্বব্যাপী একটি ‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। যার জন্য তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।