দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জ্বালানি হোক কিংবা ভোজ্য তেলেই হোক মূল্যবৃদ্ধিতে ঠিক বাংলাদেশের উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে ভারতে। এবার বাংলাদেশে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতে পেট্রল-ডিজেলের পর কমলো ভোজ্যতেলের দাম।
বাংলাদেশে যেদিন ডিজেল-কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে, ঠিক সেদিনই ভারতে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমেছে ৫ থেকে ১১ রুপি।
আবার তার সুফলও পেতে শুরু করেছে ভারতীয়রা। জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও। আবর বাদ যায়নি অতিপ্রয়োজনীয় ভোজ্যতেলও।
ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) হতে দেশটিতে পাম, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের দাম কমেছে ৫ থেকে ২০ রুপি পর্যন্ত। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সরিষার তেলের দাম।
কিছুদিন পূর্বে উৎসব মৌসুমের কথা মাথায় রেখে দেশটির সরকার ভোজ্যতেল বিক্রেতা সংস্থাগুলোকে দাম কমাতে অনুরোধ করেছিল। সরকারের সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে তেল বিক্রেতাদের সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন (এসইএ) বিভিন্ন ধরনের ভোজ্যতেলের দাম কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ রুপি কমিয়ে দেয়।
করের বোঝা মাথায় রেখে ভোজ্যতেলের দাম খুব বেশি কমানো সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছিল তেল বিক্রেতাদের একাধিক সংগঠন। তারপরই একাধিক অপরিশোধিত তেলের ওপর শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
এই বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব শুধাংশু পাণ্ডে বলেন, আমরা সবথেকে খারাপ সময় পেরিয়ে এসেছি। ভোজ্যতেলের জোগান বৃদ্ধি, শুল্ক এবং মজুত কমানোর কারণে দাম অনেকটাই কমে এসেছে।
গৃহস্থালী পর্যায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে কয়েকজন আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারক ছাড়া ভোজ্যতেল ও তেলবীজ ব্যবসায়ীদের জন্য আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পণ্যমজুতের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
ভোজ্যতেলগুলোর ওপর কৃষি সেস এবং সাধারণ শুল্ক কমানো হয়েছে, যার সুফল মিলেছে খোলা বাজারে। তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।