দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাত হলেই অনেক শিশুর পায়ে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এমন অবস্থা হলে পা টিপে দিলে ওই শিশু আরাম পায়। তবে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তার তেমন কোনো কারণ নেই। এর সমাধান রয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে শিশুদের পায়ে এই ব্যথাকে বলে গ্রোয়িং পেইন কিংবা বেড়ে ওঠার ব্যথা। তাই বলে সব ব্যথাই কিন্তু গ্রোয়িং পেইন নয়। কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে শনাক্ত করা সম্ভব কোনটা কীসের ব্যথা। আজ জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
ভারতের এসএসকেএম হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সোমনাথ পাল জানিয়েছেন এই সমস্যা সম্পর্কে আদ্যোপান্ত।
তিনি জানিয়েছেন যে, কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে ৩ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত পায়ের থাই, কাফ ও হাঁটুর পিছন দিকের মাংসপেশিতে কামড়ে ধরার মতো ব্যথাও হয়। এটিই হলো সাধারণত গ্রোয়িং পেইন। যা হালকা মালিশেই সেরে যেতে পারে।
এই ব্যথা সাধারণত তিন-চার বছর বয়স হতে শুরু হয়ে থাকে। এই ব্যথা ঊরু এবং পায়ের মাংসপেশিতেই বেশি হয়। আবার হাতেও হতে পারে। সাধারণত সন্ধ্যায় কিংবা রাতে এই ব্যথার তীব্রতা আরও বাড়ে।
কয়েক ঘণ্টা পর ব্যথা কমে গেলেই শিশু ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে উঠে কোনও কোনও শিশুর এই ব্যথার কথা আর মনেই থাকে না।
গ্রোয়িং পেইনে গিরা কিংবা অস্থিসন্ধির স্থায়ী কোনো ক্ষতি হয় না। যদি সকালে বা সারা দিন ধরেই গিরায় প্রচণ্ড ব্যথা থাকে, গিরা লাল হয়, ফুলে যায় বা গিরা এমন শক্ত হয়ে যায় যে নাড়াতেই অসুবিধা হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে, এটি আদতেও গ্রোয়িং পেইন নয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শও গ্রহণ করতে হবে। তথ্যসূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।