দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডে জঙ্গি সন্দেহে বেসামরিক নাগরিকের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ১৪ জনের মৃত্যুর পর ওই এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ঘটনায় নাগাল্যান্ড রাজ্য পুলিশ বাহিনী থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হত্যা মামলা দায়ের করার পর এটি পুলিশ স্টেশনের অপরাধ বিভাগে পাঠানো হয়।
এই ঘটনার পর বাতিল করা হয়েছে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আয়োজন করা নাগাল্যাণ্ডের সবচেয়ে বড় হর্নবিল উৎসব।
এদিকে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। গুজব ছড়ানো এড়াতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং এসএমএস সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে রবিবার দ্বিতীয়বারের মতো আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে আরও একজন নিহত হন।
বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় বাহিনীর একটি ক্যাম্পের চারপাশের এলাকায় আগুন দেয় এবং পাথর ছুঁড়েছে বলে দাবি করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে মূলত আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর বসবাস। এসব গোষ্ঠীর অনেকগুলোই আবার জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। সে জন্য সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলে প্রায় সময়।
তবে এই ধরনের অভিযানে সেখানে ভুল করে সাধারণ মানুষকে নিশানা করার অভিযোগ প্রায়ই করে থাকে নাগাল্যান্ডে বসবাসকারী লোকজন। শনিবারেও এমনই এক ভুল অভিযানে ১৪ জন সাধারণ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। এতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো নাগাল্যান্ডে। স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়ে ও তারা নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরদিন রবিবার মন জেলায় সাধারণ মানুষরা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন যে, “গ্রামে গুলির ঘটনার খবর ছড়িয়ে যেতেই শত শত আদিবাসীরা সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাম্প ঘিরে ফেলে। তারা আসাম রাইফেলস বাহিনীর গাড়ি পোড়ায় ও সশস্ত্র সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।”
তখন আসাম রাইফেলস পাল্টা আক্রমণ করে ও দ্বিতীয় পর্যায়ের হামলায় ৮ বেসামরিক নাগরিকসহ নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনাটির তদন্ত দাবি করেছেন। নিহতদের পরিবারের জন্য আন্তরিক সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন মমতা।
এই ঘটনা ইতিমধ্যে দেশ জুড়েই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেছেন যে, এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। ভারত সরকারকে এজন্য জবাবদিহি করতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।