দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের সমাজে মানুষের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা সিনেমাকেও যেনো হার মানায়। রূপকথার গল্পের মতোই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে চীনে। স্মৃতি হতে মানচিত্র এঁকে ৩২ বছর পর মায়ের সঙ্গে দেখা করলো এক যুবক!
দেশটির লি জিংওয়েই ৩৩ বছর পর খুঁজে পেলেন তার মাকে। চার বছর বয়সের সময় তিনি শিশু পাচারকারীদের শিকারে পরিণত হন। তারপর লি জিংওয়েইয়ের জীবন থেকে চলে গেছে ৩৩টি বছর। এখন তিনি ৩৭ বছর বয়সী যুবক। চার বছর বয়সে তাকে অপহরণ করা হলেও তার স্মৃতিতে অমলিন ছিল গ্রামের সেইসব দৃশ্য।
তাই লি জিংওয়েই আঁকেন তার গ্রামের একটি ছবি। সেই সূত্র ধরে পুলিশ আবিষ্কার করে তার বাড়ি। তার মায়ের সঙ্গে ক্রসম্যাচিং করে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে মা ও ছেলের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এরপরই এবার নতুন বছরের সূচনালগ্নে মা-ছেলেকে এক করে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে।
এই ঘটনার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন লি জিংওয়েই। তিনি মাকে দেখেই একেবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার পায়ে মাথা ঠোকেন। মা’ও তাকে বুকে টেনে নেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন দু’জনই। এমন সময় মা-ছেলের মনের মধ্যে কি চলছে, তা একমাত্র বিধাতাই ভালো জানেন।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে, লি মায়ের মাস্ক সরিয়ে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকেন। তারপর কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তাকে জড়িয়ে ধরেন।
মায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের যারা সাহায্য করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে লি বলেন, ৩৩ বছরের অপেক্ষা, অগণিত আকুলতার রাত ও অবশেষে স্মৃতি থেকে হাতে আঁকা মানচিত্র, প্রকাশের ১৩ দিন পর এক নিখুঁত মুহূর্তে মাকে খুঁজে পেলাম আমি।
১৯৮৯ সালে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের ঝাওটং শহর হতে অপহৃত হন শিশু লি। তারপর বিক্রি হয়ে ১৮শ’ কিলোমিটার দূরের এক পরিবারের কাছে বড় হতে থাকেন।
বর্তমানে গুয়াংডং প্রদেশে বসবাস করছেন লি। তিনি জানিয়েছেন, পালক বাবা-মা বা ডিএনএ ডেটাবেইস তাকে কোনো সাহায্য করতেই পারেনি। ইন্টারনেটে হাতে আঁকা মানচিত্র আপলোড করার পরই সেই সাহায্য এসেছে।
উল্লেখ্য, চীনে প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু অপহৃত হয়ে থাকে। ২০১৫ সালে ধারণা করা হয় যে, এই সংখ্যা ২০ হাজারের মতো।
২০২১ সালে এমন অসংখ্য তরুণ-তরুণী তাদের জৈবিক মা-বাবাকে ফিরে পেয়েছেন। গত জুলাই মাসে ২৪ বছর পর বাড়ি ফেরেন গাও গংটং নামে এক ব্যক্তি। এই খবরটি চীনে বেশ সাড়া ফেলে দেয়। তাছাড়াও বছরের পর বছর সন্তানদের খুঁজে বেড়ানো বাবার খবর প্রায়ই পাওয়া যায় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।