দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার হৃদরোগে আক্রান্ত এক বৃদ্ধের জীবন রক্ষায় ‘আংশিক’ ভূমিকা রেখে নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হলো বর্তমান সময়ের এক প্রযুক্তি ড্রোন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে সুইডেনে বাড়ির সামনের তুষারস্তূপ পরিষ্কার করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ৭১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। তার জন্য ‘ডিফিব্রিলেটর’ উড়িয়ে আসে একটি ড্রোন। বৃদ্ধের জীবন রক্ষায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত চিকিৎসকের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন ছিল ওই ‘ডিফিব্রিলেটর’টি।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে ১০ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন পড়ে রোগীর, অন্যথায় মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। সুইডেনের ওই বৃদ্ধের জন্য ‘ডিফিব্রিলেটর’ উড়িয়ে এনেছিল অসামরিক ড্রোনের মাধ্যমে জরুরি স্বাস্থ্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘এভারড্রোন’ নামে প্রতিষ্ঠানটি।
ওই ব্যক্তির নাম না প্রকাশের শর্তে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি’কে জানিয়েছে, এটি একটি অনবদ্য সেবা! খুব দ্রুতই ড্রোনটি এসে উপস্থিত হয়।
ড্রোন নির্মতা প্রতিষ্ঠান এভারড্রোন জানিয়েছে, এটির মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানোর পূর্বেইি একজন রোগীর হার্টরেট পরিমাপ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
তারা আরও জানিয়েছে, এলার্ম বেজে ওঠার পর মাত্র ৩ মিনিট সময়ের মধ্যেই অটোমেটেড এক্সার্টানাল ডেফিব্রিল্যাটর (এইডি) কিংবা হার্টরেট পরিমাপ করে এটি পাঠাতে পারে।
রোগীটির বরাত দিয়ে বিবিসি আরও জানায়, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। তবে তিনি সেটি এখন মনে করতে পারেন না। তুষার পরিস্কার করতে গিয়ে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত চারপাশে তিনি অন্ধকার দেখেন। পরে তার স্ত্রীর মুখে তিনি শুনতে পেয়েছিলেন, তিনি কততোটা ভাগ্যবান!
মুস্তাফা আলী নামে একজন ডাক্তার এই ধরণের একটি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে বিবিসি’কে জানিয়েছেন। তিনি সেদিন গাড়িতে করে তার কর্মস্থল স্থানীয় একটি হাসপাতালের দিকেই যাচ্ছিলেন। হঠাৎ গাড়ির জানালায় দেখতে পেলেন একজন লোক রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে আছেন। তিনি তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলেন।
ডা. মুস্তাফা বলেন, ওই ব্যক্তির কোন পালসই ছিল না। তাই আমি সিপিআর পদ্ধতি অবলম্বন করছিলাম। আরেকজনকে অনুরোধ করেছিলাম ১১২ (সুইডেনের জরুরী পরিসেবা নাম্বারে) কল করার জন্য। কয়েক মিনিট পর মাথার উপরে ডেফিব্রিলেটর (হার্টরেট মাপার যন্ত্র) সহ একটি ড্রোনকে আমি ঘুরতে দেখি।
এভারগ্রিন ড্রোনের চীফ এক্সিকিউটিভ ম্যাটস স্যালসট্রম বিশ্বাস করেন যে, এই প্রযুক্তিটি রোগীর জীবন বাাঁচাতে সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে কাজ করবে।
দেশটির কারোলিনস্কা গবেষকগণও তাদের ৪ মাসের একটি স্টাডিতে দেখেন, ১২টি কার্ডিয়াক আক্রান্ত কেসের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোই কার্যকর সেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে এই ড্রোনটি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।