দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসকল শিশু তাদের আল্প বয়সে নিপীড়িত হয় তাঁরা বড় হলে কর্ম ক্ষেত্রে এবং সামাজিক ক্ষেত্রে নানান মানসিক সমস্যায় ভোগে।
শিশুদের নিপীড়নের উপর দীর্ঘমেয়াদী মানসিক প্রভব সম্পর্কে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয় ফিজিওলজিক্যাল সাইন্স নামক সাইটে। এখানে দেখা যায় স্বল্প বয়সে যে সকল শিশু মানসিক উৎপাত এবং নিপীড়নের স্বীকার হয় ঐ সব শিশু বড় হলে কর্ম ক্ষেত্রে এবং সামাজিক জীবন যাপনে নানান মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হয়।
ফিজিওলজির অধ্যাপক ডিটার ওল্ক এ বিষয়ে বলেন, “আমরা শিশু বয়সে নিপীড়নকে হালকা করে দেখতে পারিনা কারণ এর প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদী। আমাদের বিষয়টি এখনই গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে কারণ এর প্রভাব ব্যক্তি এবং রাষ্ট্র উভয় ক্ষেত্রে ভয়ংকর হতে পারে।“
এক জরীপে দেখা যায় উন্নত দেশ অ্যামেরিকায় ক্যাবল ২০% শিশু মানসিক এবং শারীরিক নিপীড়নের স্বীকার।
সম্প্রতি গবেষণায় গবেষকরা ১,৪২০ জন শিশুর উপর গবেষণা চালান যাদের বয়স ৯ থেকে ১৬ বছর। এই শিশুদের অনুসরণ করা হয় তাদের বয়স ২৪ থেকে ২৬ বছর হওয়া পর্যন্ত।
গবেষণায় গবেষকরা সকল শিশুর মাঝে সেই সকল শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখেন যারা নিপীড়িত হচ্ছে বা হয়েছে এদের গবেষকরা নাম দেন “নিপীড়িত-শিশু”।
পরে দেখা যায় যে সকল শিশু ছোট বয়সে নিপীড়িত হয়েছেন সেই সকল শিশু কর্ম ক্ষেত্রে যোগ দিয়েও নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের আর্থিক অবস্থাও ভালো না। এছাড়া তাদের সামাজিক জীবনও অসুখী এখানে তাঁরা বিবাহিত জীবনেও একই ভাবে অসুখী। যারা তাদের শিশু বয়সে মানসিক নিপীড়নের স্বীকার হয় তাঁরা পরবর্তীতে তাদের বন্ধু বা স্বামী স্ত্রীর সাথেও সুখী হতে পারনা।
গত জুনের এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসকল শিশু নিপীড়িত হয় তাঁরা সাধারণত শিশু বয়সেও তেমন একটা বন্ধু বান্ধব করেনা। এর ফলে এরা প্রাপ্ত বয়স্ক হলেও মানসিক সমস্যা যেমন ডিপ্রেশনে থাকে। যাদের বন্ধু বান্ধব থাকে তাঁরা তাদের নানান সমস্যা ভালো লাগা বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে কিন্তু এক্ষেত্রে তা না হওয়াতে এসকল শিশু আরও হতাশায় চলে যায়। তাঁরা আরও ইমোশনাল হয়ে পড়ে।