দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক হিসেবে দেখা যায়, গড়ে প্রতি ৪ জন ২৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষের মধ্যে এক জন আক্রান্ত হয়ে থাকেন স্ট্রোকে। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে অসংখ্য প্রাণ কেড়ে নেয় এই মারণ রোগটি। কয়েকটি অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে এই স্ট্রোকের ঝুঁকি। সেগুলো কী কী?
এতো ঝুঁকির পরও অসচেতনতার অন্ত নেই মানুষালে। দেখে নিন কী কী অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় এই স্ট্রোকের ঝুঁকি।
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস
একমাত্র স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই ৮০ শতাংশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। অতিরিক্ত লবণ, চিনি এবং স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের আশঙ্কা। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল ডেকে আনতে পারে বড় ধরনের বিপদ। যারা আগে থেকেই ঝুঁকি সম্পন্ন, তাদের ডিমের কুসুম এবং মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
অলসতা
শরীরচর্চার অভাব এবং সারাদিন শুয়ে-বসে থাকা ডেকে আনতে পারে এই রোগ। অলস জীবনযাপনের কারণে বাড়ে ওজন, কমে পেশী এবং হাড়ের সক্ষমতাও। বিপাকের হারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ধূমপান বর্জন
ধূমপানের কারণে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করে থাকে। এমনকি পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হতে পারে শরীরের। এতে করে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা যায় কমে। যে কারণে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রের। এছাড়াও মদ্যপানের কারণেও স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।