দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়স পঞ্চাশ পেরোনোর পরই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। এই সময় তাদের সুস্থ থাকতে কিছু খাবার খেতে হবে নিয়ম করে।
বয়স পঞ্চাশ পেরোনোর পর হতে মহিলারা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন। অস্টিওপোরেসিস, ঋতুবন্ধ, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা শারীরিক উপসর্গ তখন তাদের দেখা দেয়। তা ছাড়াও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চেহারাতেও তার ছাপ পড়ে অনেকের মধ্যেই। অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে ও সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এমন কয়েকটি খাবার।
দুগ্ধজাত খাবার খান
এই সময় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের হাড়ও দুর্বল হতে থাকে। হাড় ভালো রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়ামের প্রয়োজন পড়ে। ক্যালশিয়ামের ভরপুর জোগান দিতে সক্ষম দুগ্ধজাত খাবার। হাড় এবং পেশি মজবুত রাখতে একটা বয়সের পর থেকে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া অভ্যাস করা দরকার।
সবুজ শাকসব্জি
বয়স বাড়লে এবং যে কোনও বয়সের মানুষেরই প্রচুর পরিমাণে শাকসব্জি খাওয়া দরকার। তা ছাড়াও সবুজ শাকসব্জিতে থাকা ক্যালশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ এই সব খাবার হৃদরোগের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে সাহায্য।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান
ডিম, মাছ, মাংস, মটরশুঁটি, বাদাম জাতীয় খাবার, দই, তাজা ফল, ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
বেরি জাতীয় ফল খান
বেরি জাতীয় ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফ্ল্যাভনয়েড সমৃদ্ধ এই ধরণের ফলগুলো ৫০ বছরের বেশি বয়সি নারীদের শারীরিক সুস্থতায় বাড়তি সাবধানতা প্রদান করে থাকে। তাছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এই ফল।
প্রচুর পরিমাণে পানি খান
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তেষ্টাও কমে আসে। যে কারণে শরীরে পানির ঘাটতিও দেখা দেয়। বয়স বাড়লে পানি খাওয়ার দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। কারণ পানি সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।