দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাসের কারণে জারি করা বিধিনিষেধে একাধিক ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩ তারিখ হতে রাজ্যের স্কুল ও কলেজ খুলে দেওয়া হচ্ছে।
স্কুল-কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিধি অনুযায়ী বলা হয়েছে, রেস্তোরাঁ এবং বার ইত্যাদির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে চালু রাখা যাবে। খুলে দেওয়া হচ্ছে পার্ক। তবে কার্যকর থাকবে নৈশ কারফিউ।
সোমবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, সবকিছু অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে রাখা যাবে না। রাজ্যে করোনা কমেছে, তাই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই খুলে যাবে।
এছাড়াও এদিন রাজ্যটিতে চলমান করোনা বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি হতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে বিধিনিষেধ। রাত ১১টা হতে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে নাইট কারফিউ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, ৭৫ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে খুলতে পারবে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস। ৭৫ শতাংশ লোক নিয়ে খুলতে পারবে রেস্টুরেন্ট, বার এমনকি সিনেমা হলও। পার্ক, বিনোদন পার্কও আপাতত খুলে দেওয়া হচ্ছে। ১৫ ফেব্রুয়ারির পর পরিস্থিতি দেখে আবার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা আরও জানান, ৭৫ শতাংশ লোক নিয়ে স্পোর্টস অ্য়াক্টিভিটিও করা যাবে। ৭৫ শতাংশ মানুষ নিয়ে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও করা যাবে। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো রাস্তায় মিটিং, মিছিল ২০০ জনকে নিয়ে করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সল্টলেক-সহ রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলায় রয়েছে পৌরসভার ভোট।
তাছাড়াও কোলকাতা থেকে মুম্বাই ও দিল্লির বিমানে বিধিনিষেধ উঠলো। তবে বেঙ্গালুরে করোনা গ্রাফ ঊর্ধমুখী থাকায় কোলকাতা-বেঙ্গালুরের বিমানে কড়াকড়ি আগের মতোই বহাল থাকছে। সেইসঙ্গে কোলকাতা-ব্রিটেন বিমান চলাচলেও বিধিনিষেধ উঠলো। তবে সব বিদেশীর জন্য করোনা টেস্ট অর্থাৎ আরটিপিসআর টেস্ট বাধ্যতামূলক থাকছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।