দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে জাফরান কিংবা কেশরের কোনও তুলনা হয় না। সামান্য কেশর যে কোনও পদে এনে দেয় বাদশাহি এক আমেজ। দাম অনেকটাই বেশি হলেও এর চাহিদা কিন্তু কম নয়। শুধু স্বাদই নয় এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
স্মৃতিশক্তির বাড়াতে এটি অত্যন্ত উপকারী। প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে এই কেশরে। এতে উপস্থিত ক্রোসিন ও ক্রোসেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে। আবার মানসিক অবসাদও কমায়। রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই মশলাটি।
শীতকালে অনেকেই উষ্ণ দুধে কেশর মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। যা শরীর গরম করে ও আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সামান্য কেশর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে সেই পানীয় খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি জিনিস।
ঠিক কী কী গুণ রয়েছে এতে?
# ঋতুঃস্রাবের সময় অনেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণায় ভোগেন। এ ক্ষেত্রে কেশর পানি দারুণ আরাম দিতে পারে। দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও এই পানীয় খুব উপকারী।
# কেশরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীর হতে টক্সিন পদার্থগুলি বের করে দেয়। যখন পানি মিশ্রিত করা হয়, তখন এই পানীয়টি আমাদের ত্বককে হাইড্রেট করতে ও ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে। ব্রণ, ত্বকের অন্যান্য সমস্যা থেকেও দূরে রাখে এটি।
# কেশর হলো ক্রোসিন, সাফরানাল ও পিক্রোক্রোসিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের একটি শক্তিশালী উৎস যা অনিদ্রার মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি হতে আমাদের মুক্তি দিতে পারে।
# কেশর শরীরের বিপাকক্রিয়া আরও বাড়ায়। বিপাকক্রিয়া বাড়লে মেদও কম জমে। তাই কেও যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে খাদ্যতালিকায় কেশর রাখতে হবে।
# রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও এই পানীয়টির জুড়ি মেলা ভার।
# ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলি ধ্বংস করতে কেশর খুব উপকারী। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।