দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের কর্নাটকে হিজাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্থানীয় মুসলিম সংগঠনগুলো দাবি, অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করে হিজাব পরায় বাধা দেওয়া হচ্ছে মুসলিম ছাত্রীদের।
তবে এবার কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক কানিজ ফাতিমা দাবি করেছেন যে, আমিও তো বিধানসভাতে হিজাব পরি। সেখানে বাধা দিতে তো কেও সাহসই করে না। তাহলে কলেজছাত্রীদের কেনো বাধা দেওয়া হচ্ছে?
হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়, কর্নাটকের বেশিরভাগ স্কুলে হিজাব পরিধান নিয়ে সমস্যা না থাকলেও সম্প্রতি উদুপির একটি কলেজে বিষয়টি নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এমন এক অবস্থায় গত শনিবার বিষয়টি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে কর্নাটক সরকার। নির্দেশনায় বলা হয় যে, প্রি-ইউনিভার্সিটির আওতায় যে সরকারি কলেজগুলো রয়েছে সেখানে কলেজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড যে পোশাক নির্দিষ্ট করে দেয়, সেটিই থাকবে। তবে যেখানে নির্দিষ্ট কোনো পোশাকবিধি নেই, সেখানে শিক্ষার্থীরা এমন পোশাক পরতে পারবে যাতে সম্প্রীতি, সমতা এবং আইন শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে।
তবে ইতিমধ্যেই সরকারকে নয়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন দেশটির কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক কানিজ ফাতিমা। তিনি বলেছেন, আমিও তো বিধানসভায় হিজাব পরি। পারলে সরকার আমাকে বাধা দেওয়ার সাহস করে দেখাক না। গত শনিবার হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ র্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিধায়ক কানিজ ফাতিমা।
তিনি দাবি করেন, ছাত্রীদের হিজাব পরার ওপর যেনো নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়। প্রয়োজনে ইউনিফর্মের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হোক। কারণ তারা প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্মের সঙ্গে মিলিয়ে হিজাবের রঙ পরিবর্তন করতে পারেন, তবে এটাকে পুরোপুরি ছেড়ে দিতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, হিজাব তো নতুন কিছুই নয়। বর্তমানে ছাত্রীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। পরীক্ষার মাত্র দুই মাস আগে এসেই স্কুলে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
ইতিপূর্বে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এভাবে হিজাব পরিহিতা মুসলিম ছাত্রীদের কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেছিলেন, এভাবে আমাদের দেশের মেয়েদের ভবিষ্যৎ চুরি করা হচ্ছে। অপরদিকে কর্নাটক বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করেই ভালো হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে তালেবানি ব্যবস্থা চলবে না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।