দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, হরমোন সমস্যার কারণে মুখের ভিতর ঘা হয়। তাছাড়াও শরীরে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি-র ঘাটতির কারণেও এই রোগটি হতে পারে।
জিভের নীচে বা গালে ঘা হলে খাওয়া-দাওয়া করতে বা কথা বলার সময় বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এই রকম সমস্যাই হলো মুখে আলসারের লক্ষণ। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, হরমোনের সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে ঘা হয়। তাছাড়া শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-র ঘাটতির কারণেও এই রোগ হতে পারে। একবার এই রোগের কবলে পড়লে এর থেকে রেহাই পাওয়া প্রায় মুশকিল একটি ব্যাপার।
এই যন্ত্রণার হাত থেকে কীভাবে মুক্তি পেতে পারেন
এই সমস্যা দেখা দিলে কয়েকদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। যতোটা সম্ভব হবে মরিচ, আদা রসুন ছাড়া খাবার খেতে হবে। তা না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। দিনে অন্তত ৩ বার দাঁত মাজতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
কী করলে আরাম পেতে পারেন
# মুখের ক্ষত অংশে কয়েক ফোঁটা মধু লাগিয়ে নিতে পারেন, এতে করে আরাম লাগবে।
# যেখানে ঘা হয়েছে, সেই ঘাতে বিশুদ্ধ নারকেল তেল লাগালেও আরাম পাবেন।
# পানির সঙ্গে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এখন সেই পানি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত দু’বার করে কুলকুচি করুন, এতেও আরাম পাবেন।
# নুন পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ভালো থাকে। মুখের ঘা কমাতেও একই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।
# উষ্ণ পানির সঙ্গে ত্রিফলা মিশিয়ে মুখ ধুতে পারেন। নিয়মিত করলে ঘা কমে আসবে।
# কমলালেবুর রসে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি-র অভাবে মুখে ঘা হয়। তাই মুখে ঘা হলে কমলালেবুর রস লাগাতে পারেন, এতে আরাম পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।