দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক খাদ্যেই কিশমিশ ব্যবহার করি। আবার বিভিন্ন সময় কিশমিশ খেয়েও থাকি ইচ্ছে মতো। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিশমিশ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে।
আমরা সাধারণত পায়েস, পোলাওয়ের মতো বহু বাঙালি রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করে থাকি। রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও অনেকেই মুখ চালাতে শুধু কিশমিশ খেয়ে থাকেন। কিশমিশ স্বাস্থ্যরক্ষা করে এটি ঠিক, তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিশমিশ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে।
বেশি কিশমিশ খেলে শরীরের কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
# কিশমিশে অনেক পরিমাণ ফাইবার থাকে। শরীরে ফাইবারের ঘাটতি পূরণ করার জন্য অনেকেই কিশমিশ খান। তবে অতিরিক্ত যে কোনও উপাদানই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি হলে হজমের গোলমালও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, পেটেরও নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
# কিশমিশে নানা ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। শরীরের জন্য এই উপাদানগুলো বেশ উপকারী। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করলে অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া কাশি, গলা ব্যথা, ডায়েরিয়ার মত়ো অন্যান্য অ্যালার্জিজনিত সমস্যাও তখন দেখা দিতে পারে।
# যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকরা অনেক সময় কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন। তবে অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিকের তুলনায় কমেও যেতে পারে।
# শরীরের জন্য ভালো হলেও এর মিষ্টি স্বাদের জন্য কিশমিশ দাঁতের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। মিষ্টি জাতীয় কোনও খাবার দাঁতের জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে করে দাঁতের ক্ষয় বাড়তে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।