দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাদের মধ্যে ট্রেডমিল নামক যন্ত্রটি বেশ জনপ্রিয় একটি যন্ত্র। প্রায় প্রত্যেক জিমেই এই যন্ত্রটি দেখা যায়। তবে ট্রেডমিল ব্যবহার কিছু কিছু রোগে ঝুঁকিপূর্ণ। কোনগুলো সেই রোগ?
স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মানুষ অবশ্য বাড়িতেও ব্যবহার করে থাকেন ট্রেডমিল। তবে ট্রেডমিল কী সকলের জন্যই ব্যবহার উপযোগী? কী মত বিশেষজ্ঞদের? আজ জেনে নিন বিষয়টি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ট্রেডমিলে হাঁটা কিংবা দৌড়নো খুবই স্বাস্থ্যকর একটি অভ্যাস। তবে কিছু কিছু শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ট্রেডমিল ব্যবহার করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে।
স্থূলতা
অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিরা ট্রেডমিলে দৌঁড়ালে অস্থিসন্ধির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কারও ওজন যদি ট্রেডমিলে দৌড়ানোর উপযুক্ত ওজনের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে তবে প্রথমে অন্যান্য ধরনের শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কিছুটা কমিয়ে তারপর ট্রেডমিল ব্যবহার করা উচিত। এই ওজন অবশ্য ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন রকমও হতে পারে।
অস্টিওপোরোসিস
এই রোগে হাড় এবং অস্থিসন্ধিগুলি দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এই অবস্থায় কেও ট্রেডমিলে দৌড়ালে হাড় এবং অস্থিসন্ধির সমস্যা আচমকা বেড়েও যেতে পারে।
হাঁটুর ব্যথা
হাঁটুর ব্যথা থাকলে এমনিতেও হাঁটাচলা করা সমস্যাজনক হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় ট্রেডমিলে মাত্রাতিরিক্ত হাঁটার কারণে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই যাদের হাঁটুর সমস্যা রয়েছে, তাদের ট্রেডমিল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
ফ্ল্যাট ফুট
ফ্ল্যাট ফুট আপাত দৃষ্টিতে খুব একটা ক্ষতিকর না হলেও দৌড়ানোর সময় বেশ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যাদের দুই হাঁটু পাশাপাশি স্পর্শ করে, তাদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই অবস্থায় ট্রেডমিলে দৌড়ানোর সময় কোনওভাবে হোঁচট খেলে কিংবা ভারসাম্য হারিয়ে গেলে চোট লাগার ঝুঁকিও থেকে যায়।
পিঠের সমস্যা
পিঠের কোনো সমস্যা থাকলে বা লর্ডোসিস, স্কোলিওসিস এবং কাইফোসিসের মতো অঙ্গবিন্যাসগত সমস্যা থাকলে ট্রেডমিল ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দেখা দিতে পারে।
তাছাড়াও ট্রেডমিল ব্যবহার করার আগে দেহের কোথাও পেশির দুর্বলতা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে কি না, সেই বিষয়েও অবগত হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে ট্রেডমিলে হাঁটা বা দৌড়ানোর সময় দেহের ভারসাম্য বিগড়ে গিয়ে বিপদও ঘটতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English