দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের মধ্যে অনেকেই সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য বাজারের পুষ্টিবর্ধক খাওয়ায়ে থাকি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সঠিক খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন।
সন্তানের বেড়ে ওঠা নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার যেনো শেষ থাকে না। বিশেষত সন্তানের স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তা বিকাশের বিষয়ে অধিকাংশ মা-বাবাই সদা সচেতন থাকেন। অনেকেই আবার সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য হরেক রকমের বাজারের পুষ্টিবর্ধকও খাওয়ান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন। আজ জেনে নিন কোন কোন খাবার সাহায্য করতে পারে সন্তানের বুদ্ধিমত্তার বিকাশের ক্ষেত্রে।
ডিম
ছোট-বড় সকলের সুষম খাদ্য হিসাবে ডিমের জুড়ি নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ কোলিন। কোলিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
ওট
ওটসে থাকে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো উপাদানও। এই উপদানগুলো মস্তিষ্কের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন সকালে ওট খাওয়া শিশুদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর।
রঙিন সব্জি
টমেটো, রাঙা আলু, কুমড়ো বা গাজরের মতো সব্জিতে অন্যান্য জরুরি উপাদানের সঙ্গেও থাকে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান। এই উপাদানগুলো একাধিক স্নায়ু ভালো রাখতেও সহায়তা করে। বিশেষত: চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যারোটিনয়েড অত্যন্ত উপযোগী। সেই সঙ্গে এই ধরনের সবজিতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে থাকে। মস্তিষ্কের বিকাশে দেশীয় ব্রাহ্মী শাক কার্যত কিংবদন্তি।
স্যামন মাছ
বাজারে স্যামন মাছের অপ্রতুলতা থাকলেও বর্তমানে এই মাছ দেখা যায় মাঝে-মধ্যেই। স্যামন মাছে প্রচুর পরিমাণ ‘ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যসিড’ থাকে। সেই সঙ্গে এই মাছে থাকে ‘ডিএইচএ’ এবং ‘ইপিএ’ নামক এমন দু’টি উপাদান, যা মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং কার্যকারিতা রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যে কারণে শিশুদের এই মাছ খাওয়ানো হরে, তা তাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যরক্ষায় হয়ে উঠতে পারে ‘সুপারফুড’ হিসেবে।
দুধ
দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য শিশুদের মস্তিষ্কের কোষের গঠন এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধে রয়েছে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে এবং স্নায়ুকোষের আয়ু বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English