দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দলে দলে মানুষের পালিয়ে যাওয়ার সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন সংখ্যা যুক্ত হচ্ছে। জাতিসংঘ বলেছে, ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে অন্তত ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।
ইউক্রেনে যুদ্ধের ভয়াবহতায় মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে চলেছে। কখনওবা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে আবার কখনও নিজ দেশে একটু নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে সেখানকার অসহায় মানুষ। যদিও নিজ দেশে আশ্রয় খোঁজার অর্থই হলো স্বেচ্ছায় বিপদকে ডেকে আনা। কারণ সেখানে থাকার অর্থই হলো মৃত্যুর কাছে নিজেকে ছেড়ে দেওয়া। যারা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে চলে গেছেন, তাদের অনেকের মুখে শোনা গেছে, তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। তারা বলেছেন, আমাদের স্মৃতিতে এখন শুধু বিধ্বস্ত নগরীর ছবিই ভেসে উঠছে চোখের সামনে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর এই পর্যন্ত দেশটি ছেড়ে পালিয়েছে অন্তত ৪০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়। জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ভিনদেশে শরণার্থীর জীবন বেছে নিয়েছেন তারা। গতকাল (বুধবার) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই তথ্য দিয়েছে। ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে যে, এই পর্যন্ত ৪০ লাখ ১৯ হাজার ২৮৭ জন ইউক্রেনীয় দেশটি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এই শরণার্থীদের মধ্যে ২৩ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। বিদ্যমান যুদ্ধাবস্থার কারণে দেশ ছেড়ে পালাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ সীমান্ত এলাকার দিকে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে আগ্রাসী শক্তিকে প্রতিরোধের লড়াইয়েও নেমেছে অনেকেই।
এদিকে শান্তির প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও রাশিয়া তাদের কথা রাখেনি। নতুন করে আবার হামলা শুরু করেছে ইউক্রেনে। দেশটির চেরনিহিভ অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন যে, ওই এলাকায় রাশিয়ার হামলার তীব্রতা কমেনি। যদিও ওই এলাকায় সামরিক কার্যক্রম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো মস্কো। গভর্নর ভিয়াচেস্তাভ চাউস এক টেলিগ্রাম বার্তায় রুশ প্রতিশ্রুতির কঠোর সমালোচনা করেন। চেরনিহিভ অঞ্চলে রাশিয়া রাতভর বোমা বর্ষণ করেছে দাবি করে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কি এতে (রুশ প্রতিশ্রুতির) বিশ্বাস রাখবো? অবশ্যই না।’ গত মঙ্গলবার রাশিয়া জানিয়েছিলো চেরনিহিভ ও রাজধানী কিয়েভ অঞ্চলে অভিযানের তীব্রতা কমানো হবে। তবে বুধবার প্রথম প্রহরে কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন শোনা গেছে। কিয়েভের ডেপুটি মেয়র মাইকোলা পোভোরোজনিক জানিয়েছেন যে, রাজধানীতে রাতভরই বোমা বর্ষণ হয়নি; তবে আশপাশের এলাকায় বন্দুকের গুলির শব্দ শোনা যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English