দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশ একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য একসাথে কাজ করবে এবং দুই দেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সম্পর্ক উন্নয়নে সুযোগ অন্বেষণ করবে।
বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ -এর মধ্যে এক বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার (৪ এপ্রিল ২০২২) রাজধানীর গুলশানের রয়্যাল নেদারল্যান্ডস দূতাবাসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত গত কয়েক বছরে প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বেসিস সভাপতির সাথে বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগসহ তথ্যপ্রযুক্তি বাণিজ্য সংক্রান্ত বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে রাসেল টি আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তিকে ২০২২ সালের ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেসিস ভবিষ্যৎ উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, বিদেশী বাজার সম্প্রসারণ, পুঁজি ও আর্থিক প্রণোদনা সুবিধা বৃদ্ধি, স্টার্টআপের জন্য একটি সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম তৈরি করা, ইনট্যাঞ্জিবল অ্যাসেট বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য নীতি প্রণয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রচার এই সাতটি স্তম্ভের উপর ফোকাস করে আইসিটি শিল্পের উৎকর্ষ সাধনের জন্য কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও বেসিস আইসিটি খাতে ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৩১ সালের মধ্যে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাজ করছে।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ডাচ দূতাবাস এবং বেসিস কীভাবে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, মানবসম্পদ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য একসাথে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন উল্লেখ করেন যে, তারা বেসিসের বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে আগ্রহী। এছাড়া নেদারল্যান্ডস বিজনেস টু বিজনেস ম্যাচমেকিং সেশন, রোড শো এবং পরবর্তী বেসিস সফটএক্সপোতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকা, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সহকারি ব্যবস্থাপক (ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন) নাদিয়া তাবাসসুম, নেদারল্যান্ডস কিংডম দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা মন্নুজান খানম, অর্থনৈতিক ও সিএসআর কার্যক্রম সিনিয়র উপদেষ্টা মাহজাবীন কাদের প্রমুখ। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।