দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ওজন কমাতে যোগাসন করে থাকি। তবে শুধুমাত্র ওজন কমানোই নয়, শরীর ঠাণ্ডা রাখতেও সমানভাবে উপকারী যোগাসন।
গরমের সময় বিশেষ করে রমজানের এই সময় নিয়ম করে কয়েকটি যোগাসন করলে শরীর ভিতর থেকে ঠাণ্ডা রাখা যাবে।
দিনকে দিন ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রা। বৈশাখ মাস শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর বলছে রোদের তাপ আরও বাড়তে পারে। কাজের প্রয়োজন ছাড়া এই সময় বাড়ি থেকে না বেরোনোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সে কারণে গুমোট গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে বেশি করে পানি ও মৌসুমি ফল খাওয়া প্রয়োজন। তবে শুধু ওজন কমাতেই নয়, শরীর ঠাণ্ডা রাখতেও ভরসা রাখতে পারেন এই যোগাসনে। প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েকটি যোগাসন করলে শরীর ভিতর থেকে ঠাণ্ডা রাখা যাবে।
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ভরসা রাখবেন যে যোগাসনে
তাড়াসন
এই আসনটি করতে হলে প্রথমেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। দু’পায়ের পাতার মধ্যে কিছুটা দূরত্ব রাখতে হবে। এবার হাতদু’টি উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যান। এবং হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এখন শ্বাস নিতে নিতে ঠিক মাথার উপর হাতদু’টি নিয়ে যান। একটি হাতের তালুর উপর অপরটি রাখুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রেখে তারপর পায়ের গোড়ালি মাটি হতে উপরে তুলুন। এই অবস্থায় ৩ হতে ১০ বার শ্বাস নিন। এখন গোড়ালি মাটি স্পর্শ করান। এবার শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতিদিন নিয়ম করে এই আসনটি করতে পারেন। এতে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে।
শবাসন
এই শবাসনটি সবচেয়ে সোজা আসন মনে হলেও শবাসন করতে দরকার মানসিক স্থিরতার। প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পাদু’টি লম্বা করে ছড়িয়ে দিন। তারপর দু’টি হাত শরীরের দু’পাশে রাখুন। এবার হাতের তালু দু’টি শিথিল করুন। এখন চোখ বন্ধ করুন। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। এতে করে মন, মাথা ও শরীর শান্ত থাকবে।
বালাসন
বালাসন। এই আসনটি করতে প্রথমেই মাদুরের উপর হাঁটু মুড়ে বসুন। এখন শ্বাস নিয়ে হাত দু’টি মাথার উপর রাখুন। শ্বাস ছেড়ে শরীরের ঠিক উপরের অংশ সামনের দিকে বেঁকান। এবার মাটিতে কপাল ঠেকান। আপনার নিতম্ব রাখুন গোড়ালির উপর। এই ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ থাকতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পিঠ না বেঁকে যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।