দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসাবে কাঁচা দুধের ব্যবহার করা যেতেই পারে। দুধে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন থাকে, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতেও সাহায্য করে।
প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার অন্যতম প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে কাঁচা দুধ। ত্বক ভালো ও মসৃণ রাখতে আপনি হাজারও প্রসাধনী ব্যবহার করেছেন, অথচ লাভের লাভ কিন্তু কিছুই হচ্ছে না! গরমে রোদে পুড়ে ত্বকের একেবারে বেহাল দশা অবস্থা হয়েছে। সমাধান আপনার ঠিক হাতের কাছেই রয়েছে। ত্বকের নানা সমস্যায় ভরসা রাখতে পারেন কাঁচা দুধের উপর। প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার অন্যতম প্রধান উপকরণ হিসাবে কাঁচা দুধের জুড়ি নেই।
ত্বক পরিচর্যায় কাঁচা দুধের ব্যবহার
# প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসাবেও কাঁচা দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। দুধে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন থাকে, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে আরও সাহায্য করে। গরমে রোদ থেকে ফিরে ত্বক আরও নিস্তেজ দেখায়। এই ক্ষেত্রে কাঁচা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিতে পারেন।
# কাঁচা দুধ খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে থাকে। এটি ত্বকের গভীরে ঢুকে আর্দ্রতাও ধরে রাখে। শুষ্ক ত্বকের জন্য হেঁশেলের এই উপাদানটি ভীষণ উপকারী।
# সাধারণত দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড ভালো মাত্রায় থাকে। এই উপাদানটি ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যায় যারা প্রায়ই ভুগে থাকেন, তারাও ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এতে সুফল পাবেন। ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও ল্যাকটিক অ্যাসিড ভীষণ উপকারী।
# কাঁচা দুধে বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিডও থাকে। এই উপাদানটি ত্বকের মৃতকোষগুলো দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
# ত্বকে কাঁচা দুধ মাখলে কোলাজেন উৎপাদনের হার আরও বেড়ে যায়। যে কারণে নতুন কোষ গঠণ হয়। তাই কাঁচা দুধ ত্বকে বয়েসের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে থাকে। দুধে উপস্থিত ভিটামিন ডি ত্বককে মসৃণ এবং টানটান রাখতে সাহায্য করে।
কাঁচা দুধ কীভাবে ব্যবহার করবেন?
# ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে কাঁচা দুধ, বেসন, মধু ও এক একটু হলুদ মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তারপর মিনিট ১৫ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
# রোদে পুড়ে আপনার ত্বকে ট্যান পড়েছে? কাঁচা দুধের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে নিয়মিত লাগাতে পারে। এতে করে ত্বকের কালচে দাগ দূর হবে।
# ত্বকের বলিরেখা দূর করতে টক দই এবং কাঁচা দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। তারপর সারা মুখে প্যাকটি লাগিয়ে ২০ মিনিট সময় ধরে রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।