দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধ শুধু যে ধ্বংস করে তাই নয়, যুদ্ধ অনেক সময় প্রেমের অমীয় শিখা প্রজ্জলিতও করে। যেমন ঘটেছে ব্রিটেনের টনি গারনেটনের জীবনে।
ইউক্রেন শরণার্থীদের প্রতি মানবতা দেখাতে গিয়ে সর্বনাশ হয়েছে লন্ডনের গৃহবধূ লরনা গারনেটের। ভেঙে গেছে তাদের ১০ বছরের সাজানো সংসার।
স্বামী টনি গারনেটন তিন সন্তানের জনক। তারা পশ্চিম ইউক্রেনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত লাভিভ শহরের ২২ বছরের অপরূপ সুন্দরী সোফিয়া কারকাদিম ব্রিটেনে ঢুকেই অকুল পাথারে পড়েন। তার বসবাসের কোনো জায়গা ছিল না। যে কারণে এগিয়ে আসেন লরনা। তাকে আশ্রয় দেন নিজের বাসাতে। তবে কে জানে সেই মানবতা দেখানোই কাল হয়ে দাঁড়াবে লরনা গারনেটের জন্য! সোফিয়া কারকাদিম তার ১০ বছরের সাজানো সংসার ১০ দিনেই ভেঙেচুরে দেবে তা তিনি কখনও ঠাহর করতে পারেননি।
এক সঙ্গে বসবাসের সুযোগে ভেতরে ভেতরে তার স্বামী টনি গারনেট চোরাই প্রেম শুরু করে দেন ইউক্রেনের অতি সুন্দরী সোফিয়া কারকাদিমের সঙ্গে। তারপর একদিন নিজের ঔরসজাত সন্তান, প্রিয়তমা লরনাকে ফেলে প্রেমিকাকে বগলদাবা করে চম্পট দেন টনি গারনেট। এই খবরে হৃদয় ভেঙে খান খান হয়ে যায় লরনা গারনেটের। সোফিয়া কারকাদিম তাদের সংসারে ওঠার মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই ঘটে যায় এইসব ঘটনা। এরই মধ্যে টনি গারনেট এবং সোফিয়া কারকাদিমের মধ্যে অন্তরঙ্গতাও চরম আকার ধারণ করে। তারই পরিণতিতে তারা ঘর ছেড়েছেন।
টনি গারনেট ২৯ বছর বয়সি একজন নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন। তিনি বসবাস ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ডে। টনি গারনেট মিডিয়াকে বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের সুন্দরী সোফিয়া কারকাদিমের প্রেমে পড়েছেন। জীবনের বাকিটা সময় তার সঙ্গেই কাটাতে চান।
অপরদিকে সোফিয়া কারকাদিম বলেন, টনি গারনেটকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রেমে পড়ে যায়। এখন লাভস্টোরি পূর্ণতা পেয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলকে প্রতারণার শিকার লরনা বলেছেন, যা ঘটেছে সব মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই ঘটেছে। আমি মনে করেছিলাম, যুদ্ধের শিকার একজন নারীর মাথার ওপর কোনো ছাদ নেই। তার আশ্রয়ের খুবই প্রয়োজন। তাকে আশ্রয় দেওয়ার বিনিময় সোফিয়া কারকাদিম আমাকে এভাবে ধোকা দিলো!
টনি গারনেট বলেছেন, আমি সোফিয়ার মধ্যে প্রকৃত প্রেম খুঁজে পেয়েছি। যে কোনো অজুহাতে আমরা একে অপরের কাছে এলে স্ত্রী লরনা রেগে যেতে শুরু করে। দ্য সানকে টনি গারনেট বলেন, সোফিয়া খুবই ভালো মেয়ে। কম সময়ের মধ্যে এতো আন্তরিক হয়ে উঠেছিলেন যে আমার ছয় বছর বয়সি ও তিন বছরের মেয়েরাও তাকে খুবই পছন্দ করেছিলো। টনি স্লোভাকিয়ান ভাষাতে কথা বলেন। তার প্রেমিকা সোফিয়ার ভাষা ইউক্রেনীয়। এই দুই ভাষার মধ্যে কিছুটা মিল থাকায় প্রেমের আলাপ জমাতে তাদের কোনো অসুবিধাই হয়নি।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে- এই দুজন যখন প্রেমের কথা বলতেন, তখন টনির স্ত্রী বুঝতেই পারতেন না তারা আসলে কী বিষয়ে কথা বলছেন। টনি বলেন, স্ত্রী লরনা গারনেটের সঙ্গে আমার সংসার খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। যে কারণে সোফিয়ার সঙ্গে দ্রুতই প্রেম জমে ওঠে। সময়ের ব্যবধানে সোফিয়ার সঙ্গে শারীরিকভাবেও ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ি। পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি আমরা ঘর বাঁধবো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।