দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি হাড় যত্নে রাখতে দুধের বিকল্প নেই। তবে যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে তাহলে? হাড়ের সুরক্ষা নেওয়ার জন্য তাদের জন্য রয়েছে দুধের বিকল্প ৩টি পানীয়।
অনেকেই মাঝে-মধ্যেই কোমর কিংবা পিঠে যন্ত্রণার সমস্যায় ভুগে থাকেন। শোয়ার ভঙ্গির কারণেই এমনটি হতে পারে ভেবে অনেকেই তা এড়িয়েও যান। বেশ কিছুদিন ধরে এমন হতে থাকলে সতর্ক হওয়া দরকার। হাড়ের দুর্বলতা হতে পারে এই ধরনের ব্যথার মূল কারণ। একটা বয়সের পর হতে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে দেয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব এবং শক্তিও কমে যায়। তবে এই সমস্যা তাদেরই বেশি হয়, যাদের কম বয়স থেকেই হাড়ের শক্তি এবং ঘনত্ব অনেকটা কম থাকে।
অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকি কমাতে খুব অল্প বয়স হতেই হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া দরকার। হাড় শক্তিশালী এবং মজবুত রাখতে ক্যালশিয়াম হলো একটি অপরিহার্য উপাদান। আর দুধ হলো সেই ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ। চিকিৎসকরাও হাড় এবং পেশি মজবুত রাখতে দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট’। অর্থাৎ দুধ খেলে শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কমও নয়। তাহলে উপায় কী? হাড়ের যত্ন নিতে দুধের বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন অন্য ৩টি পানীয়।
আজ দেখে নিন সেগুলো:
আঙুরের রস
শরীর ভালো রাখতে হলে আঙুর খুব উপকারী একটি ফল। হাড়ের যত্ন নিতেও অপরিহার্য এই আঙুর। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আঙুর হাড় মজবুত এবং শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে থাকে। হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও হ্রাস করে এই আঙুর। তাই হাড় ভালো রাখতে গোটা আঙুর খাওয়ার পাশাপাশি আঙুরের রস তৈরি করে সেটি খেতে পারেন। এতে বাড়তি উপকার পাবেন।
সয়া দুধ
হাড় সুস্থ রাখতে এবং মজবুত করতে সয়া দুধ বড়ই উপকারী। ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম ও অন্যান্য উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ সয়া দুধ হাড়ের যত্ন নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করে থাকে। এছাড়াও দুধের বিকল্প হিসাবেও সয়া দুধ খেতে পারেন।
স্মুদি
স্মুদি হয়তো অনেকেই চেনেন না। ফল কিংবা বিভিন্ন সবুজ,-সতেজ সব্জি দিয়ে তৈরি স্মুদি শরীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে এবং সেইসঙ্গে হাড় ভালো রাখতেও এটি অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন কে, সি, ডি, বি১২, ফাইবার রয়েছে এমন ফল বা সব্জি দিয়ে মনের মতো করে এই স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন অনায়াসে। দুধ খেতে না চাইলে তার পরিবর্তে এমন স্বাস্থ্যকর স্মুদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে বয়সকালে হাড়ের কোনো সমস্যা থাকবে না আশা করা যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।