দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতি ঈদের মতো এবারও জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দ মেলা’তে কিছু না কিছু চমক থাকছেই। এবারের ‘আনন্দ মেলা’র উপস্থাপনায় থাকছেন আফরান নিশো।
আসন্ন ঈদুল আযহার জন্য নির্মিত হওয়া বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দ মেলা’র সবচেয়ে বড় চমক এবার থাকছে উপস্থাপনায়। সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোকে দেখা যাবে আনন্দমেলার উপস্থাপনা করতে।
নিজের অভিনীত বিভিন্ন নাটকের জনপ্রিয় ৪-৫টি চরিত্রে হাজির হবেন আফরান নিশো। চরিত্রগুলোর মাধ্যমে তিনি সাজিয়ে তুলবেন এবারের পুরো আনন্দ মেলা।
এবারের আনন্দ মেলার পরিকল্পনা করেছেন জগদীশ এষ। লিটু সাখাওয়াতের গ্রন্থনায় প্রযোজনা করেছেন আফরোজা সুলতানা এবং হাসান রিয়াদ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনন্দ মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু উপস্থাপনাই নয়, পুরো আনন্দ মেলা জুড়ে থাকছে বিভিন্ন রকম চমক। আনন্দ মেলার জন্য এবার একটি থিম সংও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে কণ্ঠ দিয়েছেন বেলাল খান এবং লিজা। আরও থাকছে ঢাকা ব্যান্ডের মাকসুদের পরিবেশনা।
আরও রয়েছে নিশিতা বড়ুয়া, সাব্বির, লিজা এবং রাজীবের কণ্ঠে মৌলিক গান। আর সিনেমার গানের সঙ্গে নাচবেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এবং চিত্রনায়ক সাইমন। থাকছে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার নাচও।
আরও আকর্ষণ হলো বিশেষ একটি পর্বে আড্ডায় অংশ নিবেন চিত্রনায়িকা পরীমনি এবং তার স্বামী শরিফুল রাজ।
অপরদিকে চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন হাজির হবেন এক সময় তার ছবির জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনাকে নিয়ে। তাছাড়াও থাকছে সমসাময়িক বিষয়ের উপর ৩টি নাটিকা ও মীরাক্কেলের কৌতুক অভিনেতাদের আড্ডা।
ইতিমধ্যেই আনন্দ মেলার শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। যথারিতি এবারও বিটিভি’র পর্দায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে ঈদের দিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর।
উল্লেখ্য, যুগ যুগ ধরে বিটিভিতে ঈদের দিন প্রচারিত হয়ে আসছে আনন্দ মেলা। যে কারণে এক সময় এটি জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান হিসেবে দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো। তবে বর্তমানে দেশের ডজন ডজন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের কারণে সেই আগ্রহ নেই। তারপরও দেশের গ্রাম-গঞ্জের মানুষদের মধ্যে এখনও আনন্দ মেলা দেখার উৎসাহ রয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।