দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারলে এই রোগকে রুখে দেওয়া যেতে পারে। আপনি জানেন সেই খাবারগুলো কী?
সাধারণত পায়ের আঙুলে ব্যথা, গোড়ালিতে বা নানা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে তীব্র যন্ত্রণা হওয়া, এই সব শারীরিক অসুবিধা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। বরং কর্মব্যস্ত জীবন এবং পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাসসের কারণে যে সব অসুখকে আরও বড় আকারে ডেকে আনছে, তারমধ্যে অন্যতম হলো রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
ইউরিক অ্যাসিড হওয়ার অর্থই হলো অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে তখন বিধিনিষেধ তৈরি হয়ে যাওয়া। যেমন আপনি এতোদিন পালং শাক খেতে ভালোবাসেন, তবে ইউরিক অ্যাসিড থাকলে সেটি খাওয়া মোটেও চলবে না। এভাবেই খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে টম্যাটো, মুসুর ডাল, বিউলির ডাল, খাসির মাংস। টম্যাটো কেচআপ, ঠাণ্ডা পানীয়, চকোলেট, চিপস, বিস্কুট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া একেবারেই যাবে না। এইগুলি খাওয়ার অভ্যেস থাকলে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারলে এই রোগকে আপনি রুখে দিতে পারবেন।
এই রোগের প্রকোপ বাড়লে কী কী খাওয়া চলতে পারে তা দেখে নিন:
গ্রিন টি
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে সাধারণ চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি খেতে পারেন। এই চা এ ক্যাটেচিন নামক যৌগ থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে আরও সাহায়্য করে।
ফাইবারজাতীয় খাদ্য
আপনার ডায়েটে ফাইবারযুক্ত খাবার রাখলে এই রোগের প্রকোপ কমতে পারে। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে খাদ্যতালিকায় ওট্স, গোটা শস্য, ব্রকলি, কুমড়ার মতো সব্জি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। কারণ হলো ফাইবার রক্তের ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে তা শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
ডার্ক চকোলেট
চকোলেট খেলেই শরীরের ক্ষতি হয়, এমনটি মোটেও ঠিক নয়। ডার্ক চকোলেটে থেওব্রোমাইন থাকে। তাই এই যৌগ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাস করে থাকে। তাই আপনি চাইলে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন।
ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন সি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। পাতি লেবু, কমলা লেবু, কাঁচা মরিচ ডায়েটে বেশি পরিমাণে রাখলে আপনি উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।