দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এক বিরল রোগের খবর পাওয়া গেছে। যে রোগের কারণে ২৯ বছরের ক্লোয়ি বারনার্ড নিজেকে ৬ বছরের শিশু ভাবেন! ঘটনাটি ইংল্যান্ডের।
মূলত এটি এক বিশেষ ধরনের অ্যামনেশিয়া রোগ। এমন এক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ বছরের ক্লোয়ি বারনার্ড। মাঝে-মধ্যেই নিজেকে ৬ বছরের বালিকা ভাবতে শুরু করেন তিনি।
তার বর্তমান বয়স ২৯। তবে তা কমে প্রায়ই ৬’বছর হয়ে যান। মুহূর্তে বালিকা হয়ে যান ক্লোয়ি বার্নার্ড। অবশ্য সবই মনে মনে! এক বিরল রোগের শিকার ক্লোয়ি বয়সের সময়যানে চড়ে ২৩ বছর পিছিয়ে যেতে পারেন চোখের পলকেই। তখন তিনি অন্য এক মানুষ। ৯’বছরের পুরনো সঙ্গীকে চিনতে পারেন না একদমই। বরং আচমকা ঘরের ভিতর তাকে দেখলেই ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন। কারণ ‘শিশু ক্লোয়ি’র কাছে তার হবু স্বামী তখন একজন দাগী আসামি। তাঁকে নিজের সম্ভাব্য অপহরণকারী ভেবে ভীষণ ভয় পান তিনি!
ক্লোয়ির এই রোগ ও উপসর্গ বিরল হলেও এর নামের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। স্মৃতিবিভ্রমের অসুস্থতা অ্যামেনশিয়ায় আক্রান্ত ওই নারী। তবে ক্লোয়ির অ্যামেনশিয়ার ধরন একেবারেই ভিন্ন। উপসর্গগুলোও একেবারেই অন্যরকম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, ক্লোয়ির এই রোগের নাম হলো অ্যামেনশিয়া ফিট। এই রোগে স্মৃতিভ্রংশের পাশাপাশি একটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক জগৎ তৈরি করে নেন আক্রান্ত রোগী।
চার বছর পূর্বে প্রথম এই রোগের কথা বুঝতে পারে ক্লোয়ির পরিবার। তখনকার ২৫ বছরের তরুণী তার বাবা ও প্রেমিক জেমসকে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান। তবে সেখানে গিয়ে তার প্রেমিককে চিনতে পারছিলেন না। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি কেনো এক জন অচেনা যুবকের সঙ্গে বসে রয়েছেন, তা তার মাথাতেই যেনো আসছিল না। বিষয়টি নিয়ে তিনি যখন বেশ দোলাচলের মধ্যে ছিলেন, তখনই ক্লোয়ির বাবা তাদের দু’জনকে রেখে চলে যান। ক্লোয়ি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তিনি ভেবেছিলেন, তার বাবা তাঁকে অচেনা এক পুরুষের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন! শেষে বাড়িতে মাকে ফোন করার পর তার ভুল ভাঙে। মা তাকে জানান যে, জেমস তারই ৫ বছরের পুরনো প্রেমিক।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, সাধারণত স্মৃতিভ্রমের রোগে সাধারণত বছরে মাত্র কয়েক বার আক্রান্ত হন এই রোগে আক্রান্ত রোগী। তবে ক্লোয়ির রোগ তাকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলে প্রতি মাসে অন্ততপক্ষে দুইবার করে। সূত্র: https://www.mirror.co.uk
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।