দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্ষায় আপনার প্রিয় পোষ্যটির বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। তাদের কীভাবে যত্ন নেবেন? আজ রয়েছে তেমন কয়েকটি উপদেশ।
বর্ষার এই সময় নিজেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি, পোষ্য কুকুর বা বিড়ালটিকেও যত্নে রাখা প্রয়োজন। এই সময় লোম থেকে ত্বকের সমস্যা হওয়া ছাড়াও ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, পেটের সমস্যাতে ভুগতে পারে পোষ্যরা। বৃষ্টির আবহাওয়ায় পোষ্যকে সুস্থ রাখতে বাড়তি নজর দিতে হবে।
# বিকেল কিংবা সন্ধ্যার দিকে অনেকেই পোষ্যকে বাইরে হাঁটতে নিয়ে যান। এই আবহাওয়ায় ওদের বেশি বাইরে না নিয়ে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। বৃষ্টি না পড়লেও এই সময় রাস্তা-ঘাট সব সময়ই ভিজে স্যাস স্যাতে হয়ে থাকে। পানি-কাদার সংস্পর্শে এসে নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি এমনকি ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। খেয়াল রাখবেন কোনওভাবেই যেনো বৃষ্টির পানি পোষ্যর পেটে চলে না যায়। যে কারণে আপনার পোষ্যের পেটের গোলমালও হতে পারে।
# আরেকটি বিষয় হলো, এই বর্ষায় পোষ্যকে পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন স্নান করানো মোটেও ঠিক নয়। তবে ১৫ দিন অন্তর অন্তর অ্যান্টিসেপ্টিক জাতীয় কোনও শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করিয়ে নিতে পারেন। এতে করে পোষ্যের ত্বকের র্যাশ, চুলকানি হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না।
# এই বর্ষায় পোষ্যের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং কৃমিজনিত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই বর্ষায় মনে করে নির্দিষ্ট সময় পোষ্যকে টিকা দেওয়ার কথা ভুলবেন না। পোষ্যকে সুস্থ রাখতে হলে কী কী করা প্রয়োজন সে বিষয়ে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
# এই বর্ষায় পোষ্যের খাবার এবং পানি সুরক্ষিত রাখুন। কারণ হলো এই দু’টি থেকেই সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ানোই ভালো। বাইরে থেকে আনা কোনও জিনিসে যাতে কোনোভাবেই মুখ না দেয়, সে দিকেও নজর দিতে হবে। পানি খেতে দেওয়ার আগে তা ফুটিয়ে তারপর দিন।
# এই বর্ষায় পোষ্যর কান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। কানের ভিতর যেনো ভিজে না থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কান পরিষ্কার রাখতে ইচ্ছে করলে নিমতেলও ব্যবহার করতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।