দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে এবার পশ্চিমের আধিপত্যের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরাশক্তি হিসেবে চীনের উত্থান ঘটছে। যা এই শতাব্দীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এমন মন্তব্য করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা প্রায় পাঁচ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বন্দ্ব যখন চরমে উঠেছে ঠিক তখনই এই মন্তব্য করলেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
টনি ব্লেয়ার বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি কিংবা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব ইতিহাসের একটি বাঁক বদল হয়েছিল। এবারের এই ঘটনাকে (ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন) আগের দু’টি ঘটনার সঙ্গে তুলনা করা গেলেও এবার পশ্চিমারা স্পষ্টতভাবেই ওপরের অবস্থানে নেই।
ব্লেয়ার আরও বলেন, ‘বিশ্বে এতোদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক আধিপত্য দেখে আসলেও আমরা বর্তমানে সেটির সমাপ্তিতে আসছি।’
‘ইউক্রেনের পর, পশ্চিমা নেতৃত্বের জন্য এখন কী শেখার রয়েছে?’ শীর্ষক বক্তৃতায় টনি ব্লেয়ার এইসব কথা বলেন। লন্ডনের পশ্চিমে ডিচলে পার্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মধ্যে জোটকে সমর্থনকারী একটি ফোরামে বক্তৃতায় ব্লেয়ার আরও বলেন যে, ‘বিশ্ব কমপক্ষে দ্বি-মেরু ও সম্ভবত বহু-মেরুভিত্তিক হতে চলেছে। তবে এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন রাশিয়া নয়, বরং চীনের কাছ থেকেই আসবে।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রায় পাঁচ মাসে ইউক্রেনে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনের সামরিক-বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর হতে রাশিয়া এবং পশ্চিমের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুতর সংকটের মুখে পড়েছে। অনেকেরই আশঙ্কা যে, রাশিয়া এবং পশ্চিমের মধ্যে এই দ্বন্দ্বে বিশ্ব হয়তো পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়ার অর্থনীতিকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে প্রকৃতপক্ষে মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে পশ্চিমারা এবং ক্রেমলিন বলছে যে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চীন এবং ভারতের মতো শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হবে রাশিয়া।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার দাবি করেন যে, ইউক্রেনের যুদ্ধ মূলত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পশ্চিমারা চীনের ওপর নির্ভর করতে পারে না। তার ভাষায়, কোনো বিষয় আমরা যেভাবে যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করবো চীনও যে সেভাবেই আচরণ করবে, সেটি পশ্চিমারা বেইজিংয়ের ওপর কোনো অবস্থাতেই নির্ভর করতে পারে না।
সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেই সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন এবং পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার ‘অপব্যবহারের’ সমালোচনাও করেছেন। অপরদিকে পুতিনও চীনের সঙ্গে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বের’ ঘোষণা দিয়ে সুর মেলাচ্ছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।