দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ৮ জুলাই জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। ওই সময়ের বিভিন্ন ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাত্র আড়াই সেকেন্ডের নিরাপত্তা ত্রুটির কারণেই আবে মারা যান।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই সময়ের মধ্যে সেইভাবে চেষ্টা করলে তাকে বাঁচাতে পারতেন। এই বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেছেন, শিনজো আবেকে বাঁচানোও যেতো। নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁকে বাঁচাতে পারতেন। হত্যা ঘটনার ভিডিওচিত্র পর্যবেক্ষণ করে এমনটিই মত দিয়েছেন অন্তত ৮ জন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আবেকে লক্ষ্য করে চালানো প্রথম গুলিটি তার গায়ে লাগেইনি। দ্বিতীয়বার গুলি চালানোর পর তা এসে তার পিঠে লাগে। দুই গুলির মাঝখানে আড়াই সেকেন্ডের মতো ব্যবধান ছিল। এই সময়ের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীরা যদি আবেকে সরিয়ে নিতেন বা তার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো তাকে মরতে হতো না।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে জাপানের সংবাদপত্র ইয়োমিউরি বলেছে, হামলাকারী তেতসুইয়া ইয়ামাগামি প্রথম গুলিটি করার আগে আবে ঠিক যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেখান থেকে প্রায় ৭ মিটার কিংবা ২৩ ফুট দূরত্বের মধ্যে চলে আসে। ওই (প্রথম) গুলিটি লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হয়। তারপর দ্রুত বেগে আরও কাছে এসে মাত্র তিন মিটার দূরে থেকে দ্বিতীয় গুলিটি করা হয়। এই গুলিটিই আবের পিঠে লাগে। সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা জন সলটিস বলেছেন, দেহরক্ষীরা আবের চারপাশে এককেন্দ্রীক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছিল বলে তার মনে হয়নি।
জাপান ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দ্বিতীয়বারের গুলি থেকে রক্ষা করতে না পারাই যে একমাত্র ব্যর্থতা তা কিন্তু নয়। একাধিক নিরাপত্তা ঘাটতির চূড়ান্ত পরিণতিতে গত ৮ জুলাই নিহত হয়েছেন সবচেয়ে দীর্ঘ সময় জাপানে ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। নির্বাচনী প্রচারের সময় পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নারায় ঘরে তৈরি সাধারণ অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করা হয় শিনজো আবেকে। জাপানে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা খুবই বিরল, এছাড়াও হালকা নিরাপত্তার মধ্যে মানুষের কাছে গিয়েই প্রচার চালাতে অভ্যস্ত দেশটির রাজনীতিবিদরা। তেমন একটি দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটার পর হতবাক হয়ে পড়েন নাগরিকরা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাসহ জাপানের কর্তৃপক্ষ আবের নিরাপত্তায় ঘাটতি থাকার কথা স্বীকারও করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।