দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র একটি শতবর্ষী আম গাছ থেকে প্রায় তিনশ প্রজাতির নতুন আম উদ্ভাবন করেছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের উদ্ভাবক কলিম উল্লাহ খান। ৮২ বছরের কলিম এখনও উদ্ভাবন করে চলেছেন আরও নতুন নতুন আমের প্রজাতি।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, তরুণ বয়সেই একটি আম গাছ থেকে কলম করে ৭টি আমের জাত ‘তৈরি’ করেন কলিম। তবে তারপর ঝড়ে ওই গাছটি উপড়ে যায়। এরপর ১৯৮৭ সালে শতবর্ষী এক গাছ থেকে নমুনা নিয়ে আবারও পরীক্ষা শুরু করে দেন তিনি। তারপর আর কখনও থেমে থাকেননি তিনি। এ পর্যন্ত উদ্ভাবন করেছেন ৩০০টিরও বেশি প্রজাতি। প্রতিটিই স্বাদ, গন্ধ এবং আকারেও পৃথক।
একটি ১২০ বছরের গাছ হতেই এতো প্রজাতির আমের উদ্ভাবন তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতোই। কলিম উল্লাহ মনে করেন যে, তার কয়েক দশকের কঠোর অধ্যবসায়ের ফসলই হলো এটি। তিনি আরও বলেন, ‘‘খোলা চোখে এটি কেবলই একটি গাছ মাত্র। তবে ভালো করে তাকালেই বোঝা যায়, এটি প্রকৃতপক্ষে একটি আমের বাগান, বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমের মহাবিদ্যালয় বলা যায়।’’
এ পর্যন্ত উদ্ভাবিত আমের প্রজাতিগুলোর মধ্যে একটি কলিম উল্লাহর খুবই পছন্দ হয়েছে। তিনি সেই প্রজাতিটির নাম রেখেছেন বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে মিল রেখেই। ১৯৯৪ সালে ঐশ্বরিয়া বিশ্বসুন্দরী খেতাব জেতার পর কলিম উল্লাহ একটি আমের জাতের নাম রাখেন ঐশ্বরিয়া। এই জাতকেই এখন পর্যন্ত তিনি নিজের উদ্ভাবিত আমের মধ্যে সবচেয়ে সেরা মনে করেন।
কেবলমাত্র ঐশ্বরিয়াই নয়, কলিমের নামকরণ করা আমের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও। ৮ সন্তানের জনক কলিম উল্লাহ বলেন, মানুষ হয়তো থাকবে না তবে আমগুলো চিরকাল থাকবে। শচীন আম খেলেই মানুষরা ক্রিকেটের মহানায়কের কথা মনে পড়বে।
ডালিমের আরেক নাম রেখেছেন আনারকলি। তবে কলিম উল্লাহ নিজের উদ্ভাবিত একটি আমের প্রজাতির নামও দেন আনারকলি। এই প্রজাতির বিশেষত্ব হলো, এই আমের দুই স্তরের ত্বক রয়েছে। দুই স্তরের আমের স্বাদ এবং গন্ধও একেবারেই ভিন্ন রকমের। এতো আমের উদ্ভাবক হওয়ায় তাকে এখন বলা হয়, ‘আম্রমানব’।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।