দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহত্তম দূরবীক্ষণ যন্ত্র ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ বর্তমানে নাসার। এর সাহায্যে দূরবর্তী মহাকাশের এমন সব চিত্র সামনে উঠে এসেছে যা পৃথিবী কোনোদিন দেখেনি।
সম্প্রতি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া প্রথম পূর্ণাঙ্গ রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। ছবিটি প্রকাশ করে নাসা জানিয়েছে, বহির্বিশ্বের অদ্যাবধি যতো ছবি তোলা হয়েছে, তারমধ্যে সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও গভীরতম ইনফ্রারেড ছবি হলো এটি। মহাকাশের নিখুঁত বিশদের শেষ কথা বলে দেয় এই ছবি।
এরপর আবারও এক নতুন কিছু ছবি প্রকাশ করে নাসা। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন যে, এইসব ছবিতে মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন যেসব ধারণা পাওয়া যায় তা আগে কখনই পাওয়া সম্ভব হয়নি। তথ্য বিবিসি এবং সিএনএন’র।
নতুন প্রকাশ করা ছবি সম্পর্কে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, “আজ সকালে, এই গ্রহের মানুষরা এই টেলিস্কোপে ধারণ করা ছবিগুলো দেখতে চলেছে, প্রতিটি ছবিই বলা যায়, এক একটি নতুন আবিষ্কার। প্রতিটি ছবিই মানবজাতিকে মহাবিশ্ব সম্পর্কে এমন ধারণা দেবে, যা আগে কখনই পাওয়া যায়নি।”
সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে, ৭ হাজার ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ক্যারিনা নেবুলা হলো মূলত একটি স্টেলার নার্সারি; যেখানে জন্ম হয় তারার। এটি আকাশের বৃহত্তম ও উজ্জ্বলতম নীহারিকাগুলোর মধ্যে একটি এবং আমাদের সূর্যের চেয়েও অনেক বেশি বিশাল নক্ষত্রের বাসস্থান।
লুকানো এমন অনেক ‘বেবি স্টার’ দেখা যায় এই ‘মহাজাগতিক ক্লিফস’-এ। এতে নক্ষত্রগুলোর গঠনের প্রথম পর্যায় উঠে এসেছে , যেগুলো একদিন বেরিয়ে আসবেই।
ওয়েব টেলিস্কোপের ছবি সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রকাশ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নাসা জানিয়েছে যে, এটি ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা প্রথম ছবি। প্রথম ছবিটি প্রকাশ করে নাসা জানায়, এই ছবিটি নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে তোলা মহাকাশের ‘গ্যালাক্সি ক্লাস্টার ০৭২৩’-র ছবি।
তবে নাসা আরও জানিয়েছে যে, ওয়েব টেলিস্কোপ মহাকাশের যে অংশটির ছবি তুলেছে সেটি মূলত মহাকাশের ক্ষুদ্রতম একটি অংশ মাত্র। কতোটা ছোট, তা বোঝাতে নাসা বলেছে যে, হাতের তালুতে ধরা একটা ছোট্ট বালির দানা বলা যেতে পারে ওই ছবিটিকে! তবে নাসার বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করছেন যে, ওয়েবের সাহায্যে আগামী দিনে বহির্বিশ্বের আরও রহস্যভেদ করা যাবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।