দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যারা রান্নাঘর সামলান, তারা বিভিন্ন শিশিতে ভরে রাখেন হরেক রকম খাবার। তবে খাবার ভরে রাখলেই তো হলো না! জানতে হবে কোন খাবারের মেয়াদ কতোদিন রয়েছে সেটি।
আগে গ্রাম বাংলার রান্নাঘরে থাকতো বড় বড় সব বয়াম। এখন মডিউলার কিচেনের যুগে বয়ামের জায়গা নিয়েছে বাহারি প্লাস্টিকের বোতল বা বয়াম। যারা রান্নাঘর সমলান তারা সেইসব বোতল বা বয়ামেই ভরে রাখেন হরেক রকমের খাবার। তবে ভরে রাখলেই হলো না! জানতে হবে কোন খাবারের মেয়াদ কতোদিন রয়েছে সেটি।
অনেকেই দিনের পর দিন কৌটোয় করে ভরে রাখেন বাদাম। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাদামে তেল জাতীয় উপাদান কিংবা স্নেহ পদার্থের পরিমাণ থাকে বেশি। যা বেশিদিন থাকলে খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই ঘরের উষ্ণতায় মাস দু’য়েকের বেশি কৌটোতে বাদাম ভরে রাখা মোটেও ঠিক নয়।
অলিভ অয়েল
আলো ও গরম অলিভ অয়েল এরা খুব একটা বন্ধু নয়। একবার খোলা হয়ে গেলে তাই ৬ মাসের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে হবে তেলের বোতল। এরপর স্বাদ-গন্ধ চলে যাবে একেবারে।
চা
সাধারণত যারা বাজারের প্যাকেটজাত চা খান, সেই প্যাকেটেই লেখা থাকে মেয়াদ। তবে এখনও বহু মানুষ বাজার থেকে সরাসরি খোলা চা কিনে থাকেন। এই ধরনের খোলা চা সাধারণত কৌটোয় করেই রেখে দেওয়া হয়। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলে সেই চা না খাওয়াই ভালো। চায়ের পাতায় বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক তেল থাকে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্টও হয়ে যায়।
ঢেঁকি ছাঁটা চাল রাখা
ঢেঁকি ছাঁটা চাল সাধারণ চালের থেকে পুষ্টিগুণে কিছুটা হলেও বেশি থাকে। তবে এই চালের দামও একটু বেশি। তাই অনেকেই দীর্ঘদিন এই চাল রেখে দিয়েই খান। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ফ্রিজে রাখলে এক বছর সাধারণ উষ্ণতায় ৬ মাসের বেশি ভালো থাকে না এই ঢেঁকি ছাঁটা চাল। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।