দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোগা হওয়া অর্থাৎ ওজন কমানোর জন্য ভাত এড়িয়ে চলেন অনেকেই। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এই ভাতের গুণেই ওজন কমবে আরও দ্রুত! কিন্তু কীভাবে?
অনেকেই ওজন কমাতে পরিশ্রম কম করেন না। নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা, জিমে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানা ছাড়াও রোগা হতে আরও অনেক নিয়মই মেনে চলেন কেও কেও। মেদ ঝরানোর এই পর্বে বেশির ভাগ মানুষের খাদ্যতালিকায় ভাত একেবারেই থাকে না বলা যায়। কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভাত এড়িয়ে চলেন। অথচ পুষ্টিবিদরা বলেছেন, রোগা হতে হলে ভাত না খাওয়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই বোকামি। প্রতিদিনের ডায়েটে এক চামচ ভাত হলেও রাখা অত্যন্ত জরুরি। তবে তারা এই সম্পর্কিত একটি নতুন তথ্য সামনে উঠিয়ে নিয়ে এসেছেন। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, ওজন কমাতে নতুন রান্না করা ভাতের চেয়েও বাসি ভাত অনেক বেশি কার্যকরি। শুনতে অবাক লাগলেও পুষ্টিবিদরা এমনটাই বলেছেন।
ভাতে স্টার্চের পরিমাণ অন্য অনেক খাবারের চেয়ে বেশি। তবে গরম ভাতের চেয়ে বাসি ঠাণ্ডা ভাতে স্টার্চের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। গরম ভাতে স্টার্চ যতোটা ভরপুর পরিমাণে থাকে, যতো সময় গড়ায় এই উপাদান ততোই কমতে থাকে। ওজন কমাতে তাই কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে এই বাসি ভাত। হজমশক্তি উন্নত করতেও বাসি ভাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিপাকক্রিয়া ঠিক থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হয়ে যাবে।
আবার কেবলমাত্র ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা ছাড়াও বাসি ভাত আরও বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও বাসি ভাত সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও বাসি ভাতে ফাইবারও থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাসি ভাত ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বৃদ্ধি করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগান দেয় এই বাসি ভাত। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রণসমৃদ্ধ বাসি ভাত আরও বিভিন্নভাবে শরীরের যত্ন নেয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।