দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরানে আকস্মিক বন্যায় ৬৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬ জন ইরানের এবং বাকিরা আমিরাতের।
এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। ইরানে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনায় ঘটে ভূমিধসের কারণে। দেশটির উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন যে, নিখোঁজদের সন্ধানে তারা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইরানে ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধসে অন্তত ৫৩ জনের মৃত্যুর পর উদ্ধারকর্মীরা নিখোঁজদের সন্ধানে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জরুরি কার্যক্রমের প্রধান মেহদি ভালিপুর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এই বিষয়ে বলেছেন, দুই দিনের বন্যায় ইরানের ৩১টি প্রদেশের মধ্যে ১৮টির ৪০০ শহর এবং গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ২০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যায় দেশটির অসংখ্য মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা যায়।
তেহরানের গভর্নর মোহসেন মানসুরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, রাজধানীর তেহরানের উত্তরপূর্বে আলবুরজ পর্বতমালার পাদদেশের ফিরোজ কুহ এলাকাটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে তিনি ৬ জন নিখোঁজ থাকার কথাও জানিয়েছেন। মানসুরি জানিয়েছেন, শুক্রবারও তেহরান প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে বন্যার তাণ্ডব দেখা গেছে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও পর্বতারোহীরা এখনও ফিরোজ কুহের দিকেই ছুটছে।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, দেশজুড়ে সাম্প্রতিক বন্যার পর ৭ জন প্রবাসীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃতরা সবাই এশিয়া মহাদেশের লোক বলে জানিয়েছেন। এই বিষয়ে টুইটারে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, বন্যায় নিখোঁজ একজন প্রবাসী এশীয়কে মৃত অবস্থায় পাওয়ার পর থেকে মৃতের সংখ্যা হালনাগাদ করতে শুরু করেছে তারা। বিরল এক প্রাকৃতিক ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুরো সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং প্রতিবেশী কাতার জুড়েই ভারি বৃষ্টি হয়। এতে বহু এলাকার রাস্তা, ঘর-বাড়ি ডুবে যায়। বহু লোক হোটেলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে যে, বন্যায় রাস আল খাইমাহ, শারজাহ এবং ফুজাইরাহ এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফিল্ড ইউনিটগুলো এখনো এইসব আমিরাতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।