দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে দেশটি। জ্বালানি তেলের চড়া দামকে ভর করে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি ২০২২ সাল শেষ করতে চলেছে সৌদি আরব।
বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে’ প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে রয়েছে সৌদি আরব। জ্বালানি তেলের চড়া দামে ভর করে মধ্যপ্রাচ্যের এইা দেশটি ২০২২ সাল শেষ করতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে। তথ্য বিজনেস ইনসাইডারের।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন পূর্বাভাসে বলা হয়, এই বছর সৌদি আরবের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে পৌঁছাতে পারে ৭ দশমিক ৬ শতাংশে। মাত্র দুই বছর আগেও করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশটির প্রবৃদ্ধির হার নেমে গিয়েছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশে।
গত বুধবার আইএমএফ বলেছে যে, ব্যাপক ব্যবসায়িক সংস্কার, তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং মহামারিজনিত মন্দার প্রভাব থেকে উৎপাদন সক্ষমতা পুনরুদ্ধার হওয়ায় এই বছর সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি দেশগুলোর একটি হতে চলেছে সৌদি আরব। তবে এ বছর সৌদির এমন দুর্দান্ত অর্থনৈতিক গতিশীলতার ধারেকাছে যাওয়ারও অবস্থায় নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে এখনও মন্দার শঙ্কা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএমএফের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতির হার গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থাকতে পারে, যা আগামী বছরে পৌঁছানোরও আশঙ্কাও রয়েছে।
সবশেষ পূর্বাভাসে সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এ বছর মার্কিন যুত্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বড় জোর ২ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে, যা তাদের গত বছরের প্রবৃদ্ধির অর্ধেকেরও কম হবে এবং সৌদি আরবের তুলনায় অনেকটা নিচে। ইউরোপীয় দেশগুলোর অবস্থা আরও খারাপ।
এনার্জি অ্যাসপেক্টসের এক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইউরোপে গভীর জ্বালানি সংকট বেশ কয়েকটি খাড়া অর্থনৈতিক সংকোচনের সূচনা হতে চলেছে। এ সপ্তাহেও ইউরোপীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের বেঞ্চমার্কের দাম বেড়েছে এবং যা বর্তমানে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি। তীব্র দাবদাহ, রাশিয়ার গ্যাস প্রবাহে ঘাটতি ও খরায় জার্মানির রাইন নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়া মহাদেশটির অর্থনীতিতে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। অথচ ঠিক সেই সময় সৌদি আরব ইতিহাসের বইয়ে প্রবৃদ্ধির বিশাল মাইলফলক লিখতে চলেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।