দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কখন কার বিপদ আসবে তা কেও জানে না। সে জন্য সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হয়। সেই ভাবনা থেকেই চার বছরের ছোট্ট শিশু মন্টিকে মোবাইল ফোন আনলক করা ও জরুরি হেল্পলাইনে কল করা শিখিয়েছিলেন তার মা। তার ফল পেলেন বিপদে পড়ে।
এই শেখানো বিদ্যা যে এক দিন পরেই তার জীবন বাঁচাবে, তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করেননি তাসমানিয়ার বাসিন্দা ওয়েন্ডি। বাড়িতে তিনি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে মাত্র এক দিন আগে শেখা পদ্ধতিতে হেল্পলাইনে কল দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে মায়ের প্রাণ রক্ষা করেন মাত্র ৪ বছর বয়সী মন্টি। এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। চার বছর বয়সেই সবার চোখে যেনো এক ‘নায়ক’ হয়ে উঠেছে শিশু মন্টি!
সম্প্রতি ‘অ্যাম্বুলেন্স তাসমানিয়া’র এক ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায় যে, লন্সেস্টনের বাসিন্দা ওয়েন্ডি পেশায় একজন নার্স। তিনি সন্তান মন্টিকে ফোন কীভাবে আনলক করতে হয় তা শিখিয়েছিলেন। সবশেষ স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সেবার হেল্পলাইন ‘০০০’-তে কল করাও শেখান তিনি। ঘটনার দিন বাড়িতে হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান ওয়েন্ডি। তখন মায়ের শেখানো নিয়মে ফোন আনলক করে ০০০-তে কল দেয় ৪ বছর বয়সী মন্টি। অ্যাম্বুলেন্স তাসমানিয়ার ফোন অপারেটরকে এই শিশু বলে, ‘মা অজ্ঞান হয়ে গেছে’। বাড়ির কুকুরটি ডাকাডাকি করছে তবে সেটি বন্ধুসুলভ পোষ্য বলেও জানিয়েছে শিশুটি।
ফেসবুকের পোস্টে আরও বলা হয়, দুই প্যারামেডিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্মিত হন যে, শিশুটি জানতো আসলে কী কী করতে হবে। সে সব নির্দেশনা একেবারেই ঠিকঠাক অনুসরণ করেছিল ও ঘটনার সময় খুবই শান্তও ছিল। মন্টি লোকদের বলেছে, সে কোনো সুপারহিরো নয়। সে শুধুমাত্র হিরো (নায়ক) মাত্র।
শিশুটির মা বলেছেন যে, আমি খুবই গর্ববোধ করছি। সে সত্যিই আমার ছোট্ট হিরো। সে অবশ্যই আমাকে আজকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যে, আমরা আমাদের (শিশুদের) বলবো, তুমি যদি চিন্তায় পড়ে যাও, তাহলে এটাই তোমার করা উচিত। কে জানে, এটিই হয়তো জীবনও বাঁচাতে পারে। উপস্থিত বুদ্ধি ও সাহসিকতার জন্য অ্যাম্বুলেন্স তাসমানিয়ার কাছ থেকে একটি সনদও উপহার পেয়েছে এই ৪ বছর বয়সী শিশু মন্টি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসার ফুলঝুরি তো আছেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।